রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড উত্তর ঘাটচেক খন্দকার পাড়া এলাকায় ৩ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। এই ঘটনায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে ৩ পরিবার।সোমবার (২৬ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২ টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাতের ঘটনা ঘটে।
আগুন দেখে স্থানীয়রা ছুটে এসে বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে তাদের দুইটি ইউনিট দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসার আগে আগুনে ৩ পরিবারের সবকিছু পুড়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো প্রতিবেশীদের দেওয়া কাপড়চোপড় পড়ে আছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল হক বলেন, রমজান মাসে সারাদিন রোজা রেখে ধান কেটে, ধান পাকাপোক্ত করে ঘরে তুলেছিলাম। দিনশেষে ইফতার ও ইবাদত করে রাত ১০টার দিকে ঘুমাইতে যায়। রাত ১২টার দিকে আগুন আর আগুন এতে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন ততক্ষণে নিজেদের রক্ষা করলেও ধান, মরিচ, ফ্রিজ, টিভি, আলু, আসবাবপত্র ও নগদ টাকাসহ সোনালি স্বপ্নগুলো চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. কামরুজ্জামান সুমন বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে অগ্নিকান্ডের খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে এসে আমাদের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে জানাতে একটু দেরি হওয়ায় আগুনে পরিবারগুলোর যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে নিরূপণ করা যাবে। তবে স্থানীয়রা জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার মুঠোফোনে জানান, আজ সকালে কাউন্সিলর মো. আবুল কাসেম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ পরিবারকে দেখত যান এবং তাদেরকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদান করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু স্বজন কুমার তালুকদার ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে গিয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য সহযোগীতা করা হবে। তিনি বিকালে ক্ষতিগ্রস্থদের দেখতে যাবেন বলে জানান।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













