বাংলাধারা প্রতিবেদন »
রাঙ্গুনিয়ায় গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার শিলক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বহদ্দার পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত গৃহবধূ শানু আকতার (২৫) উপজেলার পূর্ব সরফভাটা মায়ার বাপের বাড়ির মো. কাদের বক্সের মেয়ে এবং শিলক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বহদ্দার পাড়ার শাহ আলমের পুত্র মো. ফোরকানের স্ত্রী।
শানু আকতারের মা জাহানারা বেগমের করা মামলায় শ্বাশুড়ি ও দুই ননদিনীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত তিন জন হলেন, গৃহবধূর শ্বাশুড়ি জান্নাতুল ফেরদৌস (৫০), ননদিনী খালেদা বেগম (২৫) ও রুমি আকতার (২৩)। মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্যরা হলেন, শ্বশুর শাহ আলম (৫৫) ও ননদিনী ফারজানা আহমদ ময়না (২৩)।
জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর শানু তার বাপের বাড়ী বেড়াতে এসে ১০ অক্টোবর শ্বশুর বাড়ীতে ফিরে গেলে শ্বশুর শাশুড়ি ও ননদিরা তাকে বাসায় ঢুকতে দেয়না। কারণ জানতে চাইলে শ্বশুর শাহ আলম বলেন, তোমাকে আমার ছেলে তালাক দিয়েছে। তুমি এই বাড়ীতে আর ঢুকতে পারবেনা। এসব কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শানুকে বসত ঘরে আটকে রেখে কোন কিছু খেতে না দিয়ে একদিন ধরে নির্যাতন চালায়।
১১ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে রশি দিয়ে হাত-পা বেধেঁ বেদম মারধর করে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ননদিরা। পরে প্রতিবেশীরা শানুর পরিবারকে খবর দিলে পুলিশসহ গিয়ে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে উদ্ধার করে।
তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের পর ১২ অক্টোবর দুপুরে শ্বাশুড়ি ও দুই ননদিনীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাঙ্গুনিয়া থানার এস আই মজিবুর রহমান বলেন, ‘থানায় মামলা দায়েরের পর শ্বাশুড়ি দুই ননদিনীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় অপর আসামিরা পালিয়ে য়ায়। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
গৃহবধূ শানুর আকতারের মা জাহানারা বেগম বলেন, ২০১৪ সালে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আমার মেয়ের সাথে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয় প্রবাসী মো. ফোরকানের। তাদের সংসারে বর্তমানে ১৮ মাস বয়সের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবীতে আমার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালাতো। কিন্তু বাচ্চা মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সব সহ্য করতো সে। সর্বশেষ তার স্বামী পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে আমার মেয়েকে তালাক দেয়ার পায়তারা চালায় এবং হত্যা করে চিরতরে সরিয়ে দিতে তাকে এভাবে মারধর করে।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এএ
				












