২৪ অক্টোবর ২০২৫

রাঙ্গুনিয়া স্থাস্থ্যকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

আশিক এলাহী, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি »

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের খুরুশিয়া গ্রামের মো. আলী আহমদের ছেলে ওমান প্রবাসী মো. তাজুল ইসলাম এসএমএস (খুদে বার্তা) পেয়ে সকাল ৯টায় করোনা টিকা নিতে আসে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্থাস্থ্য কেন্দ্রে। দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ৩টায় জানতে পারে আজকের নির্দিষ্ট পরিমাণের টিকা শেষ। অনেক প্রচেষ্টা চালিয়ে বুঝতে পারে আজকে টিকা নেওয়া সম্ভব না। এরকম অসংখ্য মানুষ এসএমএস পেয়ে আসলেও টিকা নিতে পারেনি।

জানতে চাইলে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এসএমএস পাওয়া অসংখ্য মানুষ টিকা পায়নি। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বুঝতে পারি ব্যবস্থাপনার অদক্ষতার কারণে হাজারও মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছে।

তিনি বলেন, প্রবাসীরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা। অথচ তাঁদের জন্য কোনো সুযোগ সুবিধা নাই।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১২ আগষ্ট) রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্থাস্থ্যকেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভীর ছিলো। সরকারি নির্দেশনা স্থাস্থ্যবিধি মেনে করোনার টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও টিকাকেন্দ্রে দেখা যায় তাঁর ঠিক উল্টা চিত্র। কেন্দ্রে যেন করোনার চাষাবাদ হচ্ছে।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নিতে উপচে পড়া ভিড়। ছবি : প্রতিবেদক

এদিকে কেন্দ্রে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলারও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা স্থাস্থ্যকেন্দ্রের প্রবেশ মুখে একজন ফার্মাসিস্ট টাকার বিনিময়ে মানুষকে প্রতিদিন টিকা নিয়ে দিচ্ছে।

আবুল কালাম (৫২) বলেন, ভোরে এসেছি টিকা নিতে, এখন বাজে দুপুর সাড়ে ১টা। এখনও লম্বা লাইন। আদৌও টিকা পাব কি না অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। একটু পরে হয়তো বলবে টিকা শেষ হয়ে গেছে। তখন টিকা না নিয়েই বাসায় ফিরতে হবে। এখানে অনেকে বিশৃঙ্খলাও তৈরি করছে।’ স্বজনপ্রীতি করে অনেকে লাইনে না দাঁড়িয়ে টিকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর ভারপ্রাপ্ত পরিসংখ্যাবিদ ওয়াহেদুর রহমান বলেন, প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জন লোক টিকা দিতে এসএমএস পাচ্ছেন। গত মাসে যারা নিবন্ধন করেছেন তাঁরা টিকা দিতে এসেছেন। নিবন্ধনকারী ব্যক্তিরা এ মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত টিকা পেতে এসএমএস পেয়েছেন। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ লোকের টিকা দিতে নির্দেশনা আছে। কিছু প্রবাসী ও অন্যান্য মিলে হয়তো কম বেশি হয়। দ্বিতীয় ডোজের জন্য টিকা নিতে দুপুর ১ টার মধ্যে কেন্দ্রে আসলে টিকা পাবেন।

টিকাকেন্দ্রে অনিয়ম হচ্ছে-এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্থাস্থ্যকেন্দ্র ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব প্রসাদ চক্রবর্তী ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইফতেখার ইউনুস বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন