কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে মিয়ানমারের নাগরিক দুই রাখাইনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর সদস্যরা।
বুধবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট সেন্টারের পশ্চিমে টিভি টাওয়ার এলাকায় ক্যাম্প ৭-এর প্রবেশমুখে চেকপোস্ট থেকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানান আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৪ (এপিবিএন) অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাইমুল হক। তারা মোটরসাইকেলে করে ক্যাম্পের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।
এসময় তাদের ব্যবহৃত মিয়ানমারের একটি বাইকও জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন— মিয়ানমারে আকিয়াবের বাসিন্দা সেন জাওয়া সো ইউন (২১) ও কিয়া লং সো (২৭)।
এসপি নাইম বলেন, মিয়ানমারের দুই জন রাখাইনকে সন্দেহজনক আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
ক্যাম্পের বাসিন্দারা জানান, হাফ পেন্ট-থ্রি শার্ট পরনে মিয়ানমারের দুই জন নাগরিক বাইক নিয়ে এসে বুধবার রাতে উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের স্থানীয় দোকানদার সৈয়দ আলমের দোকানে কেনাকাটা করে। এসময় তাদের আচরণ সন্দেহজনক হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ পৌছে তাদের আটক করে। তারা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত কিভাবে অতিক্রম করলো তা ভাবনার বিষয়। মনে হচ্ছে নাইক্ষ্যংছড়ি শুন্য রেখা এলাকা দিয়েই তারা বাইকসহ বাংলাদেশে ঢুকেছে।
এদিকে, আটকদের পরিচয় নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি, আটক দুজনই মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য। তারা ক্যাম্পে বড় ধরনের কোন নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছেন।
সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র মতে, আটক দুজনই মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্য বলে তথ্য পাচ্ছেন তারা, তবে এখনো নিশ্চিত নন।
১৪ আমর্ড পুলিশ সুপার নাইমুল হক বলেন, আটকরা রোহিঙ্গা বা বাংলা ভাষাও জানে না। দোভাষীদের সহযোগিতায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে, তারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে দাবি করছেন। আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, তারা যদি মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সদস্য হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র দাবি করছে, আটকরা পাহাড়ি সীমান্তরেখা দিয়ে কয়েক দিন আগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রবেশ করে। ক্যাম্পের কিছু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সূত্রটির মতে, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা নিয়ে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যখন ৭০০ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার সরকার ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশকে চিঠি দিয়েছে, ঠিক এমন সময় মিয়ানমারের সন্দেহভাজন এ দুজন নাগরিককে ক্যাম্প এলাকায় পাওয়ায় ষড়যন্ত্রের বিষয়টি সামনে এসেছে।
উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, মিয়ানমারের দুইজন রাখাইনকে আটকের বিষয়ে শুনেছি। তবে এখনো তাদের থানায় সোর্পদ করা হয়নি।













