২৪ অক্টোবর ২০২৫

রানের পাহাড় টপকে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

বাংলাধারা স্পোর্টস »

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের দেওয়া ২৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্ধরে পৌছে যায় বাংলাদেশ। যার ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যাধানে জিতলো তামিম ইকবালরা। আর এই জয়ে আইসিসি সুপার লিগে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করলো বাংলাদেশ। পাশাপাশি জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে ৫০তম জয় পেয়েছে বাংলাদেশের। ৭৭ ম্যাচে বাংলাদেশে জিতেছে ৫০টি ম্যাচে।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) হাই স্কোরিং ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে এদিন দৃঢ়তা দেখায় স্বাগতিক দল। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৩ বল বাকি থাকতে অলআউট হলেও দলটি জড়ো করে ২৯৮ রান।

দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান ৩ ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ৮৪ রান আসে ওপেনার রেগিস চাকাভার ব্যাট থেকে। ৯১ বলের মোকাবেলায় তিনি হাঁকান ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া রায়ান বার্ল ৪টি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৩ বলে ৫০ এবং সিকান্দার রাজা ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সহায়তায় ৫৪ বলে ৫৭ রান করেন।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ দারুণ সূচনা পায় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে। প্রথম পাওয়ারপ্লে নির্বিঘ্নে কাটালেও দলীয় ৮৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৩৭ বলে ৩২ রান করে লিটন সাজঘরে ফিরলেও ওয়ান ডাউনে নামা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে জিম্বাবুয়ের বোলারদের শাসন অব্যাহত রাখেন তামিম।

আগের ম্যাচের নায়ক সাকিব এই ম্যাচে অবশ্য ভালো ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়েও বিদায় নেন ৩০ রান করে। তার আগে ৪২ বলের মোকাবেলায় হাঁকান একটি করে চার-ছক্কা। তামিম নিজের ছন্দ অনুযায়ী খেলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্রুততম শতক (৮৭ বলে)।

তামিমের মারকুটে ইনিংস থামে ১১২ রানে। ৯৭ বলের মোকাবেলায় ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তামিমের বিদায়ের পরের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গোল্ডেন ডাকের শিকার হলে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে হাল ধরেন প্রায় পাঁচ বছর পর খেলতে নামা নুরুল হাসান সোহান। মিঠুন ৫৭ বলে ৩০ রান করে বিদায় নিলে আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে সোহান লড়াই চালিয়ে যান।

শেষপর্যন্ত এই জুটিই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। সোহান ৩৯ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন, হাঁকান ৬টি চার। মারকুটে ব্যাটিং দেখিয়েছেন আফিফও, ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৭ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলাদেশ জয় পায় ২ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই।

বাংলাদেশের পক্ষে এদিন খরুচে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়লেও নিজের করা শেষ ওভারে শিকার করেন তিনটি উইকেট। সমানসংখ্যক উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমানও। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুটি এবং তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।

আজ নিজের ক্যারিয়ারের ২০০তম ওয়ানডে খেলেছেন পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বল হাতে দুর্দান্ত খেললেও ব্যাট হাতে মাইলফলকের ম্যাচ রাঙাতে পারেননি। তিরিপানোর বলে গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেছেন।

তিরিপানোর অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি কাট করে হালকা ঢোকে ভেতরে। মাহমুদউল্লাহ ক্রস ব্যাটে শট খেলার চেষ্টা করেন। বল তার ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে যায় কিপার চাকাভার গ্লাভসে জমা হয়।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন