খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি »
খাগড়াছড়ির রামগড়ের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) তিন কর্মীকে অস্ত্র ও বিভিন্ন মালামালসহ আটক করেছে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) ভোররাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানিকছড়ির বাটনাতলী ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. ওয়ালী উল্লাহর নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ রামগড়ের পাতাছড়া ইউনিয়নের গরুকাটা নামক দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। এসময় ঐ এলাকায় জনৈক অনিল চাকমার বাসা থেকে রামগড়ের জরিচব্দ্র পাড়ার সরি কুমার ত্রিপুরার ছেলে রকি ত্রিপুরা (২০), দীঘিনালার রাজেন্দ্র কার্বারীপাড়ার দুলা ত্রিপুরার ছেলে জুয়েল ত্রিপুরা(২৩) ও গুইমারার দেওয়ানপাড়ার উলা অং মারমার ছেলে চাথো অং মারমাকে (৩০) আটক করে।
এ সময় ঐ ঘর তল্লাশি করে ১টি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ, ৮টি মোবাইল ফোন সেট, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, নগদ ৩২ হাজার ৫৬০ টাকা, সংগঠনের নীতিমালার বই ও হিসাব রেজিস্টার বইসহ সংগঠনটির বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করা হয়।
সূত্র জানায়, আটককৃত সবাই ইউপিডিএফের প্রসীত খীসা গ্রুপের চাঁদা কালেক্টর। এছাড়া যে বাসা থেকে এদের অস্ত্রসহ আটক করা হয় ঐ বাসার মালিক অনিল চাকমাও সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য। তবে তাকে আটক করা যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও রামগড় উপজেলা লাগোয়া মরাকয়লা, লিপিপাড়া, থলিবাড়ি, নাভাঙ্গা ও গরু কাটা প্রভৃতি দুর্গম এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে ইউপিডিএফের প্রসীত খীসা গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করছে। ওসব এলাকার পাহাড়ি-বাঙালি সকল গ্রামবাসী তাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। ওসব এলাকার জননিরাপত্তায় নিয়োজিত বাটনাতলী ক্যাম্পের সেনাবাহিনী প্রায়শই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও যোগাযোগের সুবিধাবিহীন ও গহীন অরণ্যঘেরা এলাকা হওয়ায় অনেক সময় সন্ত্রাসীদের আটক করা সম্ভব হয় না।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, বুধবার ভোররাতে গরুকাটা এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ইউপিডিএফের তিন সন্ত্রাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার বিকালে রামগড় থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র ও চাঁদাবাজি আইনে মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাধারা/এফএস/এএ













