২৪ অক্টোবর ২০২৫

রামুতে কিশোর, মহেশখালীতে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কালুরঘাটে টেম্পুচাপায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রীর বাকঁখালী

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

কক্সবাজারের রামু ও মহেশখালীতে পৃথক প্রহারের ঘটনায় দুজন খুন হয়েছেন। নিহতদের একজন কর্মজীবী কিশোর এবং অপরজন পশু চিকিৎসক। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল-বিকাল পৃথক সময়ে হত্যাকান্ড দুটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সূত্র জানায়, কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং বড়ডেপা এলাকায় মোহাম্মদ জুয়েল (১৬) নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত জুয়েল খুনিয়াপালং ইউনিয়নের বড়ডেপা হেডম্যান পাড়ার মনিরুজ্জামানের ছেলে। শুক্রবার বিকেলে রামু থানা পুলিশ ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, জুয়েল বড়ডেপা এলাকায় মো. রশিদ নামে একজনের মালিকানাধীন শিকদার পোল্ট্রি ফার্মের কর্মচারী। ওই খামারে বকেয়া টাকা চাওয়ায় জুয়েলকে মারধর করা হয়। এতে জুয়েলের মৃত্যু হলে মরদেহ খামারের পাশে ফেলে দেয়া হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে হত্যাকারিরা।

রামু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানান, হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠাচ্ছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নারীসহ তিনজনকে পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে।

অপরদিকে, মহেশখালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আব্দুস শুক্কুর (৬২) নামের এক গ্রাম্য পশু চিকিৎসককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কালারমার ছড়া ইউনিয়নের ডেইল্যা ঘোনা গ্রামের ছরারলামা নামক স্থানে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুস শুকুর হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলাপাড়া গ্রামের মৃত বদিউর রহমানের ছেলে।

নিহতের ছেলে পশু চিকিৎসক নুরুল আবছার জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার পিতার সাথে ডেইল্যা ঘোনা গ্রামের মৃত উম্মত আলীর ছেলে জাফর আলম, এলাহী শরীফের ছেলে মোরশেদ আলম ও একই এলাকার জয়নাল ডাকাতসহ বেশ কয়েকজনের বিরোধ চলে আসছিল। আমার পিতার সাড়ে ছয় কানি জমির বিরোধ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের কাছে সালিশ বিচার ও আদালতের মামলায় আমার পিতা রায় পেলেও বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন সশস্ত্রভাবে দলবল নিয়ে বিরোধীয় জায়গায় পান বরজের চালা তৈরি করে। শুক্রবার সকালে আমার বাবা তাদেরকে বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের ১৫-১৬ জন নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাবার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি মারধরে মারাত্মক আহত বাবাকে এলাকার লোকজন উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন