দুদিনের টানা বর্ষণের পানির তোড়ে কক্সবাজারের রামুতে সদ্য নির্মিত ‘রাজারকুল-মনিরঝিল’ সংযোগ সেতুর এ্যাপ্রোচে ভাঙন ধরেছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে স্রোতের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর একপাশের এ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি সরে গিয়ে ভাঙনের কবলে পড়ে সেতুটি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সড়কের পুরো অংশ তলিয়ে গিয়ে যেকোন সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় শংকায় দিনাতিপাত করছে দুপারের লোকজন।
জানা গেছে, রাজারকুল-মনিরঝিল দু’গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ সেতুটি। হঠাৎ ভারী বৃষ্টিতে সেতুটির সংযোগ ভাঙনের কবলে পড়ায় আতঙ্কে রয়েছেন পথচারী ও যানবাহন চালকেরা। চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার আগেই দ্রুত সময়ে সেতুর এ্যাপ্রোচটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আগে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে চরম বিপর্যে পড়তে পারে দুই গ্রামের হাজারও মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল শামা বলেন, সেতুটি নির্মাণ হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। নির্মাণের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির এ্যাপ্রোচ ভাঙনের কবলে পড়লো। এ্যাপ্রোচ সড়কে বালির পরিমাণ বেশি হওয়ায় পানি যাওয়ার সুযোগ পেয়েই মূহুর্তে বিশাল অংশ তলিয়ে নিয়েছে। ঠিকাদারের দায়সারা কাজের মাশুল দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই মুহূর্তে সেতুটি দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলেই কেবল যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা রোধ সম্ভব।
এলজিইডি রামু উপজেলা প্রকৌশলী মনজুর হাছান ভূইয়া জানান, ভারি বর্ষণের পানির তোড়ে রাজারকুল-মনিরঝিল সড়কের সংযোগ সেতুটির একপাশের এপ্রোচ সড়কের অংশ ভেঙে ধসে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরো বড় অংশ তলিয়ে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে। সাথে ফসলি জমিও পানিতে তলিয়ে গেছে। খবর পেয়ে ব্রীজটির এ্যাপ্রোচ ভাঙ্গন রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, সেতু ভাঙনের বিষয়টি অবগত হয়েছি। জরুরি ভিত্তিতে সেতু সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।













