রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩০ হাজার ২৪৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার বা ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রোববার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০২৪৮ দশমিক ১১ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।
আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৫২৩২ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার।
এক বছর আগে অর্থাৎ গতবছরের আগস্টের শুরুতে দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার। আর নিট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। সে সময় ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ নেমেছিল ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
এদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস-প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। এতে রিজার্ভের ওপর যে চাপ দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছিল, তা অনেকটাই কমতে শুরু করেছে।
বর্তমানে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। প্রতি মাসে গড়ে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয়ের ধারা বিবেচনায় এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের বেশি আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে, অন্তত ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম রিজার্ভ নিরাপদ ধরা হয়। সে হিসেবে বাংলাদেশ এখন স্বস্তিকর পর্যায়ে রয়েছে।