বাঁশখালী প্রতিনিধি »
বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আয়কর রশিদ জমা না দেওয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আরিফ উল্লাহর। আপিলও তা বহাল থাকে। হাইকোর্টও খারিজ করে দেয়। পরে আবারও হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থীতা ফিরে পান তিনি।
রোববার (২৯ মে) বিকাল ৪ টায় হাইকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ খসরুজ্জামান এবং মুহাম্মদ ইকবাল কবীরের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ-১৫ তার প্রার্থিতা বহাল রাখার আদেশ দেন।
আরিফ উল্লাহর আইনজীবী মুহাম্মদ মুসা বলেন, আয়করের রশিদ জমা না দেওয়ার আরিফ উল্লাহ’র মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। সেই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হলেও প্রথমে মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ বহাল রেখে আপিলটি খারিজ করে দেন আদালত। পরে মনোনয়ন ফিরে পেতে ফের রিট করা হয়। এরপর শুনানি শেষে বিচারপতি মুহাম্মদ খসরুজ্জামান এবং মুহাম্মদ ইকবাল কবীরের যৌথ বেঞ্চ তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। একই সাথে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে রির্টানিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল আলম জানান, উচ্চ আদালত থেকে মাওলানা আরিফ উল্লাহর প্রার্থিতা বহালের নোটিশ এখনও আমার কাছে পৌঁছেনি। নোটিশ পৌঁছালে মাওলানা আরিফ উল্লাহকে প্রতীক দেওয়া হবে।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আরিফ উল্লাহ বলেন, আয়কর রশিদ জমা না দেওয়ায় আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। আপিলেও তা বহাল থাকে। এরপর দীর্ঘ ১০ দিন চেষ্টার পর হাইকোর্টের আপিল বিভাগ আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকাবাসীর দোয়ায় আমি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি বলে মনে করি। এখন গণ্ডামারাবাসীর কাছ থেকে কেউ আমাকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।













