আকাশ মারমা মংসিং, বান্দরবান »
বান্দরবানের রুমা বাজার থেকে থানা পাড়া পর্যন্ত সড়কটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। নেই কোন সড়কবাতি। রাতের আঁধার নামার সাথে সাথে নেমে আসে ভুতুড়ে অন্ধকার। ছিনতাই ও দুর্ঘটনা আতঙ্কে চলাচল করতে হয়। তাই রাতে আঁধার নামতে না নামতেই চলাচলে আতঙ্কে থাকে এ সড়কের পথচারীরা। এমন কি ছিনতাইয়ের ভয়ে গাড়ি চলাচলও কমে যায়। উপজেলার দুর্গম এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ পৌঁছালেও রুমা বাজার থেকে থানা পাড়ার পর্যন্ত সড়কে নেই বিদ্যুৎ। সেড়কের এসব জায়গায় অপহরণ কিংবা ছিনতাইয়ের আতঙ্কে রাস্তায় চলাচল করছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বলছেন, রুমা বাজার থেকে থানা পাড়া পর্যন্ত সড়কে বিদ্যুৎ না থাকায় রাতের অন্ধকারে ছিনতাই ও দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে এলাকাবাসীর মনে বিরাজ করেছে আতঙ্ক। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় বিদ্যুতের লাইন দিলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হতো। সড়কে হেটে যেতেও সহজ হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রুমা বাজার থেকে থানা পর্যন্ত সড়কের দূরত্ব রয়েছে ১ কিলোমিটার। বিদ্যুতের খুঁটি থাকলেও নেই সড়কবাতি। সেই এক কিলোমিটারজুড়ে নেই বিদ্যুতিক লাইন। সেই রাস্তায় চলে মোটরসাইকেল কিংবা সাধারণ মানুষের চলাফেরা। এ রাস্তা পাহাড় চূড়া হওয়ায় কারণে যে কোন এক সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। সেই দুর্ভোগ স্থানে প্রশাসনে নাই কোন তদারকি। আবার সড়কে কিনারে ভেঙে গেছে পাহাড়। সড়কটি ছোট হওয়ায় দুটি গাড়ি চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়।

রুমা উপজেলার বাসিন্দা উবাসিং মারমা জানান, সন্ধ্যায় পরে হেটে যেতে অনেক ভয় লাগে। এমনকি পরিবার নিয়ে যেতে আরও বেশি ভয় হয়। কারণ ওই সড়কে বিদ্যুতের লাইন না থাকায় অন্ধকারে আকঙ্কে চলাফেরা করতে হয়।
একই এলাকার বিউটি চিরান বলেন, ‘রুমা বাজার থেকে থানা পাড়া আসতে ভয় করে। এই রাস্তায় কোন লাইট নেই। তাই ভয়ে বিকালের মধ্যে বাড়িতে এসে যেতে হয়।’

মুংলাই পাড়া বাসিন্দা রজার বম বলেন, ‘রুমা থেকে মুনলাই পাড়া যেতে সড়কজুড়ে ঘোর অন্ধকার। দুর্ঘটনা ও ছিনতাইয়ের ভয় থাকে এই রাস্তায় চলাচলে। তবুও প্রয়োজনের তাগিতে ভয়ভীতিকে সঙ্গী করেই আসতে হয়। রাস্তায় বিদ্যুতের স্থাপনের পদক্ষেপ নিলে ভালো হয়।’
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন শিবলী বলেন, ‘সড়কে পাশে বিদ্যুতের লাইন দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। সেইসাথে এলাকার কারবারি সাথে কথা বলে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে শুনেছি। কয়েকদিন মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিব। সড়কে পাশে লাইট দিব যাতে নির্ভয়ে সাধারণ মানুষ রাতেও চলাফেরা করতে পারে। আশা করি, এক সপ্তাহের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে।













