চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের সুপেয় পানি প্রদানের লক্ষ্যে বছর কয়েক আগে স্থাপন করা হয় বিশুদ্ধ পানি সরবারহের একটি বুথ। তবে দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার, পরিদর্শন ও তদারকির অভাবে সরবারহকৃত এই বুথের পানি হয়ে পড়েছে পানের অনুপযোগী। ট্যাপ ছাড়লেই বেরিয়ে আসছে ময়লা, দুর্গন্ধ ও আয়রণ যুক্ত ঘোলাটে পানি।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের এ বুথটি থেকে পানি পান করলে জীবন বাঁচার বদলে রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনাই বেশি বলে অভিযোগ রেলওয়ে যাত্রীদের।
বিশুদ্ধতার নিশ্চয়তা দিয়ে রেলযাত্রীদের জন্য চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে থাকা পানি সরবারহের একমাত্র বুথটি ঠিক কতটুকু নিরাপদ তা জানতে প্রয়োজন নেই কোনো বিশেষেজ্ঞের। ট্যাপ খুলে যেকোনো পাত্রে পানি ঢাললেই পাওয়া যাবে এর উত্তর। বিশুদ্ধ পানির নামে ময়লা, আয়রনযুক্ত ও হলুদ রঙের দূর্গন্ধময় পানি সরবরাহ হচ্ছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থিত এই বুথ থেকে।
স্টেশনের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তারা যেন এব্যাপারে নির্বিকার। দীর্ঘদিন ধরে দূষিত ও দূর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ করায় যাত্রীদের কন্ঠেও ফুটে উঠেছে আক্ষেপের সুর।
নূরুল ইসলাম নামের একজন যাত্রী বলেন, সাইনবোর্ডে লেখা আছে নিরাপদ পানি সুস্থ জীবন। তবে পানি বোতলে ভরে দেখি পানির রং পুরোটাই হলুদ। এই পানি পান পানের অযোগ্য। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আমাদের বিশুদ্ধ পানির কথা বলে ময়লা ও দূর্গন্ধ যুক্ত পানি খাওয়াচ্ছে।
ফরিদ আহমেদ নামের অন্য একজন যাত্রী বলেন, আমি সব সময় ট্রেনে যাতায়াত করি। বর্তমানে রেলওয়ে টিকিটের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু বাড়েনি সেবার মান। বুথে খাওয়াচ্ছে নোংরা পানি।
অপর এক যাত্রী বলেন, এই পানি মোটেও পানের উপযোগী না। এই পানি পান করলে ডায়রিয়াসহ নানা রকম রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
যাত্রীদের এমন অভিযোগের উত্তর খুঁজতে অফিস চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজারের কক্ষে গেলেও অফিস চলাকালীন সময়ে পাওয়া যায়নি তাকে।
পরে মুঠোফোনে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে এবিষয়ে তিনি সব দোষ চাপান স্পন্সর প্রতিষ্ঠান রবির ওপর।
তিনি বলেন, পানির বুথটি ‘রবি সিম কোম্পানি’ আমাদের স্পন্সর করেছে। তবে বুথ তৈরি হওয়ার পর থেকে তাদের সাথে আমাদের আর যোগাযোগ হয়নি।













