২৪ অক্টোবর ২০২৫

রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি আপাতত শিথিল, চট্টগ্রামেও স্থগিত আন্দোলন

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি দেওয়ার কথা থাকলেও, প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ ও শিক্ষা উপদেষ্টার আহ্বানে চলমান বৈঠকের কারণে এই কর্মসূচি আপাতত শিথিল করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা একযোগে ক্যাম্পাস থেকে রেললাইনের দিকে অগ্রসর হয়ে পৌনে ১২টার কক্সবাজারগামী ট্রেন অবরোধ করার কথা ছিল। এরপর দুপুর একটার দিকে মডেল স্কুল হয়ে টেকনিক্যাল মোড় পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিলের পরিকল্পনাও ছিল। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনো শিক্ষার্থীকে আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়নি। এমনকি আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সারা দেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে এই কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেল অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

এর আগে, গত ২০ মার্চ চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী আন্দোলন করেন।

উল্লেখ্য, ‘জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর’ পদটি মূলত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নির্ধারিত হলেও, সাম্প্রতিক একটি হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা দিয়ে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এতে অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি (ভোকেশনাল) এবং এইচএসসি পাস ব্যক্তিরাও ওই পদে আসার সুযোগ পাচ্ছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অধিকাংশই কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত নন এবং তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিলে প্রকৃত কারিগরি শিক্ষা ব্যাহত হবে।পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এআরই/বাংলাধারা

আরও পড়ুন