কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালি জামতলীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২টি কাপড় ও কসমেটিকের দোকান মালামালসহ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জামতলী বাজার কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন।
মঙ্গলবার(১৬ মে) সকাল সাড়ে ৬ দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-১৫ জামতলী বাজারে এঘটনা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আগুনের সূত্রপাত নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আবার কেউ শত্রুতামূলক ভাবে আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন।
পালংখালি ক্যাম্প-১৫ জামতলী বাজার কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় শাহাবুদ্দিনের কাপড়ের দোকান অংশ হতে আগুনের সুত্রপাত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। পরবর্তী দ্রুত চারদিক ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আগুন লাগার সংবাদে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিটসহ সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও রোহিঙ্গা ভলেন্টিয়ারগণ আগুন নিয়ন্ত্রণের চেস্টা চালায়। আধাঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হন তারা। ততক্ষণে কাপড় ও কসমেটিকের দোকানসহ ৩২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ জানান, ক্যাম্প-১৫ নম্বর জামতলী বাজারের অগ্নিকান্ডরের সংবাদ পেয়ে এপিবিএন, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন ভলেন্টিয়াররা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উখিয়ার ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ মো. ইমদাদুল হক জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা হচ্ছে জামতলী বাজারে ক্যাম্পের ভেতর বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে কাপড়ের দোকান হতে আগুনের সূত্রপাত হয়। আমাদের ২টি ইউনিট আধা ঘন্টা ব্যাপী কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি ছাড়াতে পারে বলে দাবি করছে ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প এলাকার আশপাশের কিছুদিন পরপর কোন না কোন ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে আসছে। একেক সময় ৫শ, একহাজার বসতিও পু্ড়ে ছাই হয়েছে। নিহত হয়েছে অনেক রোহিঙ্গা। ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্যাম্পেও অনেক ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর রেশ না কাটতেই অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি দোকান পুড়লো।
