কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)বিরোধী কথা বলায় ধারালো কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে এক সাব-মাঝিকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ/৫৬ এর কোডেক স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ আমির জাফর।
নিহত মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৫) উখিয়ার ক্যাম্প-১৮ এর ব্লক এইচ/৫৬ এর সাব-মাঝি।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ আমির জাফর জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ/৫৬ এর কোডেক স্কুলের সামনে সন্ত্রাসীদের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে ব্লক এইচ/৫৬ এর সাব-মাঝি মোহাম্মদ আইয়ুবকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে নিহত আইয়ুব আরসা বিরোধী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল।এ কারনে তাকে হত্যা করা হতে পারে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চালানো হচ্ছে। উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। ক্যাম্পের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
উখিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৫) নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত আইয়ূব একটি ক্যাম্পের সাব-মাঝি বলে জানিয়েছে ক্যাম্প সূত্র।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-৫ এর ডি/৫ এবং ক্যাম্প-৬ এর সি/৬ ব্লকের মাঝামাঝি এলাকায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসার) ১০-১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে আটক করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে এপিবিএন সদস্য কনস্টেবল জানে আলম ও ইমরুল হাসান শুভ। সন্ত্রাসীদের ছুঁড়া গুলিতে আহত হয়েছেন পুলিশের দুই সদস্য। এর ২৪ ঘন্টার মাথায় সাব-মাঝি খুনের ঘটনা ঘটে।













