বাংলাধারা প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানা এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. আমান উল্লাহ ওরফে মানিক (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। এসময় তার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া ৩৭ হাজার ৫’শ টাকা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ভূজপুর ইউনিয়নের কাজীর টিলা (পাগলীছড়ি) নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মানিক ভূজপুর থানার পশ্চিম সিংহরিয়া দক্ষিণ ভূইয়া বাড়ির মৃত আবুল কালামের পুত্র। তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে চান্দগাঁও থানায় একটি মামলাও রয়েছে।
র্যাব জানায়, একজন তালাক প্রাপ্ত মহিলার সঙ্গে তার স্বামীর পারিবারিক বিভিন্ন কলহের কারণে বনিবনা না হওয়ায় মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। তার স্বামী তাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। ভিকটিম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চট্টগ্রাম বিজ্ঞ আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতে ওই মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে জানতে আসলে মো. আমান উল্লাহ নামক ওই প্রতারকের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং সে নিজেকে একজন র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করেন।
আমান উল্লাহ ওই মামলা তদন্তের সকল কাজ করে দিবে এবং আসামির নামে ওয়ারেন্ট বের করে আসামিকে গ্রেফতার করার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে ভিকটিমকে আশ্বস্ত করে। আসামি গ্রেফতারের ব্যাপারে সাহায্য চাইলে প্রতারক আমান উল্লাহ মামলাটি র্যাব দিয়ে তদন্ত করিয়ে দিবে এবং তার ডিভোর্সী স্বামীকে গ্রেফতার করিয়ে দিবে বলে এক লাখ টাকা দাবি করে। ভিকটিম মোবাইলের মাধ্যমে ৩৭ হাজার ৫’শ টাকা প্রদান করে।
পরবর্তীতে ভিকটিম আমান উল্লাহকে তার মামলা এবং স্বামীকে গ্রেফতার সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে আমান উল্লাহ তখন ভিকটিমের নিকট আবারও ২০ হাজার টাকা দাবি করে। এছাড়াও ভিকটিমকে বলে যে, যদি তাকে আরও ২০ হাজার টাকা না দেয়া হয় তাহলে তার মামলাটি ভিকটিমের বিপক্ষে যাবে এবং উল্টা তাকেই গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নুরুল আবছার বলেন, ভিকটিম র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর একটি লিখিত আবেদন দাখিল করলে উল্লেখিত ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে আমরা গ্রেফতার করি। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানায়। সিডিএমএস পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে সিএমপি’র চান্দগাঁও থানায় ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বরের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ১০(২)-এ ১টি মামলা পাওয়া যায়।
গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
বাংলাধারা/আরএইচআর













