রাঙামাটি প্রতিনিধি »
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের পর এবার লংগদু উপজেলায় রাজনৈতিক সংঘাত এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষ’ এড়াতে লংগদু উপজেলায় আজ সোমবার ১৪৪ ধারা জারি ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার দিবাগত রাতে এক গণবিজ্ঞপ্তি ১৪৪ ধারা জারি করেন লংগদু উপজেলার ইউএনও (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলুর রহমান।
এর আগে শনিবার রাতে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলার কাপ্তাই উপজেলায় ১৪৪ জারি করে উপজেলা প্রশাসন। এটাই রাঙামাটি জেলায় চলতি বছরের প্রথম ১৪৪ ধারা জারির ঘটনার সূত্রপাত ছিল।
লংগদুর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণবিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২৯ আগস্ট লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়ন এবং মাইনীমুখ ইউনিয়ন এলাকায় জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়া ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে লংগদু উপজেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
অন্যদিকে একই স্থানে, একই সময়ে লংগদু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সভা ও সমাবেশের আয়োজন করবেন মর্মে সংবাদ পাওয়া যায়।
ইউএনও জানান, লংগদু ইউনিয়ন এবং মাইনীমুখ ইউনিয়নর একই স্থানে, একই তারিখ ও সময়ে বাংলাদেশের দুটি বৃহত্তর রাজনৈতিকদলের আহত কর্মসূচির কারণে জনজীবনের অসুবিধা ও উপজেলার স্বাভাবিক শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি জানান, যেহেতু জনস্বার্থে লংগদু উপজেলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখা অপরিহার্য। যে কারণে ২৯ আগস্ট সকাল ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত লংগদু উপজেলার লংগদু ইউনিয়ন এবং মাইনীমুখ ইউনিয়ন ও তার আশেপাশের এলাকায়সকল প্রকার সভা সমাবেশ, মিছিল মিটিং, লোক সমাগম এবং চার বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে চলাচল ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী সকল অবৈধ কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে উল্লিখিত স্থানে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করলাম।
এ আদেশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জরুরি সেবা, স্বাভাবিক কাজে নিয়োজিত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে জড়িত ব্যক্তিবর্গের জন্য প্রযোজ্য হবে না বলেও জানানো হয়েছে ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে।













