৪ নভেম্বর ২০২৫

লকডাউনেও ইয়াবা পাচার, বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গাসহ নিহত ৪

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

করোনা আতংকে দেশের সর্বত্র লকডাউন অবস্থাতেও ইয়াবা পাচারকালে বিজিবি ও পুলিশের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন।

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলার লেদায় বিজিবির সাথে তিনজন এবং হোয়াইক্যংয়ে পুলিশের সঙ্গে অপর একজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

শনিবার (২৮ মার্চ) ভোর রাতের পৃথক সময়ে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবির কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. ফয়সাল হাসান খান ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

এ ঘটনায় বিজিবি এক লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবার বড় চালানও জব্দ করা হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান জানান, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে- এমন খবরে বিজিবির একটি বিশেষ টিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার ছ্যুরিখালে নাফনদীর পাশে গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় একটি নৌকায় চার-পাঁচ জন লোক ওই এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে। তাদের দেখে সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবি চ্যালেঞ্জ করে। এসময় বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে স্বশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বিজিবির তিন সদস্য আহত হন।

বিজিবি এ কর্মকর্তা জানান, পরে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা গুলি করতে করতে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে কেওড়া বাগানে দিকে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা থেকে ইয়াবা অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা তিন জনকে উদ্ধার করা হয়। আহতদের টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নিহত তিন জন রোহিঙ্গা হতে পারে।

ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি গুলির খালি খোসা, একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শুক্রবার দিনগত রাতে হোয়াইক্যং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মুছা আকবর (৩৬) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের তুলাতুলী এলাকায়। ওসি দাবি করছে, এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়েছে ও নিহত মুছা মাদক কারবারি। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কে আলম বলেন, বিজিবি ও পুলিশ গুলিবিদ্ধ চার ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। তাদের শরীরে গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। আহত বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন