৮ ডিসেম্বর ২০২৫

লকডাউনে দোকান খোলায় পুলিশের চাঁদাবাজি

বাংলাধারা প্রতিবেদক  »

করোনা রোধে কঠোর বিধিনিষেধে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খাবারের দোকানসহ বিশেষ কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। তবে চট্টগ্রামের একে খান এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ৫০ থেকে ১০০ টাকার বিনিময়ে মিলছে দোকান খোলা রাখার বিশেষ অনুমতি। অত্র এলাকায় মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকে ভাসমান টং দোকানসহ কিছু সংখ্যক খাবার হোটেল। কখনও দোকানের শাটার বন্ধ করে, কখনো অর্ধেক খোলা রেখে কিংবা কখনো সম্পূর্ণ খোলা রেখে চলে বেচাকেনা। সোমবার (০২ আগস্ট) রাতেও এই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। দোকানিদের জিজ্ঞেস করলে জানা যায় পুলিশ কে টাকা দিয়েই মিলেছে খোলা রাখার এই বিশেষ অনুমতি। সোর্সের মাধ্যমে পুলিশ সন্ধ্যার পর অর্থ আদায় করছে দোকানদারদের কাছ থেকে।

ব্যবসায়ীরা জানান, করোনাকালীন সময়ে দোকানপাট বন্ধ রাখলে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের ঘানি টানতে দোকান খোলা রাখা ছাড়া কোন উপায় নেই। যেখানে সারাদিনে বিক্রি হতো ৩-৪ হাজার টাকা তা এখন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। তবে পুলিশের সোর্সকে টাকা দিলে পুলিশ আর আসে না। তবে পাহাড়তলী থানা পুলিশের সোর্স রুবেল দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সন্ধ্যার পর পেট্রোল টিমের হাতে তুলে দেয় এই অর্থ। দেখা গেছে সন্ধ্যার পর পুলিশের টিম প্রথম দফায় দোকানের ঝাপের উপর লাঠিসোটা দিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা চালায়। কিছুক্ষণ পরে সোর্স রুবেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পেট্রোল টিমের হাতে তুলে দেয়। রাত ৮ টার পর দ্বিতীয় শিফট পরিবর্তন হলে পুলিশের পেট্রোল টিম আবারও হানা দেয়। পরবর্তীতে অর্থ লেনদেন শেষে রাত অবধি দোকান খোলা রাখারা সুযোগ পায় ব্যবসায়ীরা। লকডাউনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাহাড়তলী থানা ‍পুলিশ অর্থ আদায়ে নেমেছে।

এই ব্যাপারে পাহাড়তলী থানার ওসি ইমাম হাসান বাংলাধারা কে জানান, ‘করোনাকালীন সময়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে। শুধুমাত্র ওষুধের দোকান খোলা রাখার নিয়ম রয়েছে। অন্যথায় আমাদের পেট্রোল টিম বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়। অর্থ আদায়ের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সঠিক প্রমাণের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন