আনোয়ারা প্রতিনিধি »
আনোয়ারা উপজেলায় লকডাউনে ভাড়া বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক গ্রামে জসিম কন্ট্রাক্টরের বিল্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে। চুরির ঘটনায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়া এলাকার ভুক্তভোগী কামরুল হোসাইন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় চোরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এসময় তিনি পুলিশের কাছে বিল্ডিংয়ে থাকা সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ প্রদান করেন। রাত আড়াইটা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত দেড় ঘন্টা সংঘটিত চুরির ভিডিও ফুটেজে চোরের বিল্ডিংয়ে ঢোকা থেকে শুরু করে চুরি করে বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সকল ফুটেজ রয়েছে। তবে ঘটনার বার দিন পার হয়ে গেলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে সেই চোর। পুলিশ সেই চোরকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেননি। চোরকে না ধরতে এক ব্যক্তি প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাদী।
অভিযোগ সূত্রে ও বাদীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি কেইপিজেডে অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন। লকডাউনে কারখানা বন্ধ থাকায় তিনি পরিবার নিয়ে কুতুবদিয়ায় গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। যাওয়ার সময় বিল্ডিংয়ের দোতলার বাসায় বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে যায়। ঘটনার দিন ভোরে বাসার জমিদার ফোন করে জানায় তার বাসা চুরি হয়েছে। দ্রুত বাসায় এসে দেখেন দরজার তালা ভেঙ্গে চোর প্রায় দেড় লক্ষ টাকার স্বর্ণ, নগদ ৫৩ হাজার টাকাসহ আরো বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কামরুল হোসাইন বলেন, চুরির ঘটনায় আনোয়ারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ভিডিও ফুটেজও দিই। ভিডিওতে চোরকে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ঘটনার বার দিন অতিবাহিত হলেও প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপে চোরকে গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ।
বিল্ডিংয়ের জমিদার জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ভাড়াটিয়া লকডাউনের কারণে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। বাসায় তারা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে যান। ঘটনার দিন ভোরে আমরা তার বাসার তালা খোলা দেখে তাকে ফোন করে চুরির ঘটনার কথা জানায়।
আনোয়ারা থানার এস আই আবুল ফারেজ জুয়েল বলেন, শাহ’র পাড়া এলাকায় সংঘটিত চুরির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করতে পারছিনা। তবে আমরা চোর ধরতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













