বাংলাধারা প্রতিবেদন »
করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় দীর্ঘদিন ধরে দেশে লকডাউন বিরাজমান থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল মানুষের জীবন-জীবিকা ও দেশীয় অর্থনৈতিক অবস্থা। সবদিক বিচার বিবেচনা করে শেষ অবধি লকডাউন শিথিল করে নিয়েছে সরকার। সেক্ষেত্রে মানুষকে সুনির্দিষ্ট কিছু স্বাস্হ্যবিধিও মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যানবাহন, লঞ্চ, ট্রেন, বিমান সবকিছুই চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু লকডাউন শিথিলের প্রথমদিনেই নগরবাসী, গণপরিবহনের চালক, হেল্পারদের মাঝে কোনরুপ সচেতনতা চোখে পড়ে নি। এদিকে, লকডাউন শিথিল হতে না হতেই নগরীর খেলার মাঠগুলো আবারো দখলে নিয়েছে উঠতি বয়সী তরুণরা।
চট্টগ্রামের প্যারেড মাঠে শতাধিক শিশুকিশোর তরনকে দেখা গেছে খেলাধুলায় মত্ত থাকতে। মাঠের অর্ধেক জুড়ে কাঁচাবাজার বসলেও বাকি মাঠে আগের মতোই খেলাধুলা করছে শিশু কিশোর তরুনরা।
এই মাঠে ফুটবল খেলায় ব্যস্ত কয়েকজন যুবকের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সরকার লকডাউন উঠিয়ে নিয়েছে। এখন খেলতে বাধা কোথায়?
এ বিষয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (সাউথ) মেহেদী হাসান বাংলাধারাকে জানান, খেলাধুলা করার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি৷ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়ারও অনুমতি নেই। খেলাধুলা নিশ্চয় জরুরী প্রয়োজনের মধ্যে পড়ে না। কোন ধরনের গণ জমায়েত করার অনুমতি নেই। যারা আইন ভঙ্গ করছে তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একই অবস্থা কাজির দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম মাঠ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মাঠের। এখানেও খেলাধুলা করছে বেশ কিছু কিশোর -তরুন।
চট্টগ্রামে গতকালও নতুন ২০৮ করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে৷ করোনার সংক্রমণের দিক থেকে চট্টগ্রাম এখন দেশের ২য় স্থানে রয়েছে। এ অবস্থায় সামাজিক সুরক্ষাকে পাশ কাটিয়ে খেলাধুলায় মত্ত হওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে এমন অভিমত বিশিষ্টজনদের।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বিও বলছেন, এই বয়সীরা বাইরে বেশি ঘুরা-ফেরা করছেন। ঘরে থাকার জন্য আমরা বারবার অনুরোধ করছি। কিন্তু অনেকেই কথা শুনছেন না। অকারণে বাইরে বের হচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন। আর বাইরে বের হলেই করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি। তাই এই বয়সীরা বেশি আক্রান্ত।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













