সায়ীদ আলমগীর »
গত পক্ষকাল ধরে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। ফলে দেশব্যাপী চলেছে কঠোর লকডাউন। বন্ধ রয়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারসহ দেশের সব পর্যটন স্পট। কিন্তু এরই মাঝে দরজায় কড়া নাড়ছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর কোরবানির ঈদ। এ উপলক্ষে আজ (১৫ জুলাই) হতে ঈদের দু’দিন পর পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। শুরু হয়েছে যান চলাচল।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকল ধরণের চলাচল নির্বিঘ্ন করা হলেও কোরবানির ঈদেও খুলছে না কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল ও পর্যটন স্পট। এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ।
ডিসি বলেন, দেশের মানুষ নিরোগ ও নিরাপদ থাকুক এটাই সরকারের কামনা। তাই করোনা মহামারী রোধে কঠোর লকডাউন পালনে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সচেতনতা সৃষ্টিতে জরিমানা ও সাজার মতো ঘটনার অবতারণাও করতে হয়েছে প্রশাসনকে। মনস্তাত্ত্বিক কারণে লকডাউন শিথিল হলেও আগের মতো পর্যটন স্পট, হোটেল-মোটেল বন্ধ থাকবে।
এদিকে, পর্যটন সেবায় যুক্ত অর্ধলক্ষাধিক মানুষের পরিবারের দূর্বিষহ জীবন স্বাভাবিক রাখার প্রত্যয়ে শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গত ২৪ জুন থেকে হোটেল-মোটেল সচল হবার সিদ্ধান্ত হয়। সবাই হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ ধুয়ে মুছে পরিস্কারও করেছিল। তবে, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রুম বুকিং না দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত দেয়া হলেও আবার কঠোর লকডাউনের কবলে পড়ে পর্যটন নগরী।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের পর্যটন সেক্টর বন্ধ করে দেয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে পুলিশ-প্রশাসনের চেয়ে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষের চ্যালেঞ্জ বেশি। তাই করোনা মোকাবেলায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে নিরাপদে বেঁচে থাকাই কাম্য। ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত দিতে না পারলে সরকার খাদ্য সহায়তা দেয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের জন্য এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ীক ক্ষতির তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে দিন দিন। কিন্তু করোনাও সাম্প্রতিক সময়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। মাস্ক পড়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পর্যটন ব্যবসাও খুলে দেয়া দরকার ছিল।
বাংলাধারা/এফএস/এআর













