২৮ অক্টোবর ২০২৫

লাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ফের গোলাগুলি, নিরাপদ স্থানে সরানো হলো ঝুঁকিপূর্ণদের

বাংলাধারা ডেস্ক »

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ ঘটনায় ছেড়ারমাঠ সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী ঝুঁকিপূর্ণ ১৫০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল থে‌কে রাত পর্যন্ত গোলাগুলি বাড়তে থাকে সীমান্ত এলাকায়। মর্টার শেল এবং গুলির বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার গণমাধ্যমকে বলেন, চাকঢালা সীমান্তের ৪৩ ও ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের ছেড়ারমাঠ এলাকায় গোলাগুলির পরিমাণ বেড়ে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আতঙ্কিত দেড়শ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্তে অবস্থানকালে মনে হচ্ছিল, গুলিগুলো যেন মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পরও সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি।

দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমরান বলেন, শনিবার সকালে দৌছড়ি সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে দুপুরের পর দৌছড়ি সীমান্তে আর গোলাগুলি হয়নি। দৌছড়ি সীমান্ত থেকে কোনো জনসাধারণকে সরানো হয়নি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী, ফাত্রাঝিরি, হেডম্যানপাড়া এবং দৌছড়ি ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে মিয়ানমার বাহিনীর দুই মাস ধরে সংঘাত চলছে।

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর ব্যবহৃত যুদ্ধ বিমান এবং ফাইটিং হেলিকপ্টার থেকে নিক্ষেপ করা গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। মাঝেমধ্যেই মর্টার শেলের গোলা এবং ভারী অস্ত্রের গুলি এসে পড়ছে ঘুমধুম সীমান্তে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর উড়ে এসে পড়া মর্টার শেলের গোলা বিস্ফোরিত হয়ে শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও ৫ জন।

আরও পড়ুন