কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় স্কুলে আসার পথে দুই ছাত্রীকে ‘অপহরণ’ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জসিম উদ্দিন (১৮) নামে এক সিএনজি ড্রাইভারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
সোমবার (৩০ মে) বেলা ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খরুলিয়া বাজারের পশ্চিম পাশের শামান্তা ফিলিং স্টেশনের সামনে চলন্ত সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে রক্ষা পান দুই স্কুলছাত্রী।
আটক সিএনজি চালক জসিম উদ্দিন সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মোহসিনিয়া পাড়া গ্রামের আমান উল্লাহর ছেলে।
ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী একই এলাকার। তারা খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, ওই দুই ছাত্রী মোহসিনিয়া পাড়া থেকেএকটি সিএনজি (কক্সবাজার-থ -১১-৬৬০২ নম্বর) গাড়িতে উঠেন স্কুলের উদ্দেশে। খরুলিয়া বাজারে আসার পর প্রায় সব যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে যায়। এরপর ওই দুই ছাত্রী গাড়ি থেকে স্কুল গেটে নামতে চাইলে আটক চালক বাঁধা দেন। এবং কক্সবাজার শহরের দিকে রওনা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে চলন্ত গাড়ি থেকে দুজনেই লাফ দিলে গুরুতর আহত হন।
এসময় তারা চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা, ইউপি সদস্য আব্দু রশিদ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা এসে তাদের উদ্ধার করে। তারা ড্রাইভার জসিমকে আটক করে গাড়িটিসহ স্কুলে নিয়ে যায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কাছে হন্তান্তর করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে সিএনজি চালক কক্সবাজারের দিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করলে ওই শিক্ষার্থীদের চিৎকারে স্থানীয় জনতা বখাটে চালককে আটক করে স্কুলে নিয়ে আসে। পরে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ড্রাইভার জসিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শিক্ষার্থী ও চালক একই এলাকার। এটা ভুল বুঝাবুঝি বলে দাবি করছে পরিবারগুলো। উভয়ের অভিভাবকরা থানায় আসছেন। তাদের সিদ্ধানে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।













