বাংলাধারা প্রতিবেদক »
নগরীর লালখানবাজার এলাকায় একটি শতবর্ষী গাছ গোড়াসহ হেলে পড়েছে সড়কে। এতে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের অংশ হিসেবে ম্যাক্স গ্রুপ পাহাড়ের একাংশের মাটি কেটে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ করায় গাছের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে লালখানবাজার ম্যাজিস্ট্রেট কলোনির পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার একপাশে চলছে ম্যাক্স গ্রুপের ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণের কাজ। আর সেই কাজের কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে পাহাড়ের একাংশের মাটি। যার ফলে গাছের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ গাছটি হেলে পড়েছে মূল সড়কে। যার ফলে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।

এদিকে গাছটির নিচে চাপা পড়েছে একটি রিকশা। তবে রিকশায় কোন যাত্রী না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ওই রিকশা চালক সামান্যের জন্য বেঁচে।
ওই রিকশাচালক বলেন, ‘হঠাৎ করে একটি শব্দ হয়। এরপর দেখি আমার উপর একটি গাছ ভেঙে পড়ছে। আমি সামনে যাব নাকি পেছনে যাব— খুবই দ্বিধায় পড়ে যাই সেই মুহূর্তে। দেখতে দেখতেই গাছটি আমার রিকশার ওপর ভেঙে পড়ে। কিন্তু অলৌকিকভাবে আমি প্রাণে বেঁচে গেছি। কিন্তু আমার রিকশাটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাই। কারণ এটাই আমার উপার্জনের একমাত্র উৎস।’
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন চসিকের জামালখান ওয়ার্ড ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ড ও ১৪ নম্বর লালখান ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা। তিনি বলেন, ‘ঘটনা শুনেই আমি ছুটে এসেছি। দুর্ঘটনা ঘটলেও আমরা চসিকের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ঠিকাদারকে জানালেও তারা এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। আমার এলাকার জনগণ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেও বিদ্যুৎ পাবে কিনা— সেই ব্যাপারেও আমি সন্দিহান।’

জানতে চাইলে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের রেস্কিউ টিমের লীডার টিটু বাংলাধারাকে বলেন, ‘গাছ ভেঙে পড়েছে এমন খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসে দেখলাম গাছ পড়ে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গাছটি অনেক বড়। গাছটির নিচে কোন মাটি নেই বললেই চলে। প্রবল বৃষ্টিতে বিদ্যুতের খুঁটিসহ গাছটি সড়কে হেলে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ড্রেন নির্মাণের গর্তগুলো এভাবে করা উচিত হয়নি। আর করলেও ভরাট করা উচিত ছিল। রাস্তা ক্লিয়ার করতে কতক্ষণ সময় লাগছে তা বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা এখন যত দ্রুত সম্ভব গাছগুলো কেটে সড়িয়ে রাস্তায় যান চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
বাংলাধারা/আরএইচআর













