২৯ অক্টোবর ২০২৫

লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে মিললো ২০ হাজার ইয়াবা

কক্সবাজার প্রতিনিধি »  

মরদেহ ডেলিভারি দিয়ে ফেরার পথে পরিবহন করা ২০ হাজার ইয়াবা ও এ্যাম্বুলেন্সসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কক্সবাজারের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের লিংকরোড় থেকে তাদের আটক করা হলেও তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি পুলিশ সোমবার বিকেলে বিষয়টি প্রচার করে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে কক্সবাজার সদর থানায় মাদক আইনে মামলা (নং-১০/৩০৯, তারিখ-৬/৪/২০২০ইং) করা হয়েছে।

আটকরা হলো, কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া মধ্যমপাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে মোঃ আব্দুস শুক্কুর প্রকাশ সাইফুল(২৬), ভোলার তজুমুদ্দিন কোরালমারা ইউপির খাসেরহাট এলাকার মনতাজ মিয়ার ছেলে বর্তমানে চট্টগ্রামের চকবাজার ডিসি রোড, আবু কলোনীতে বসবাসকারি মো. সোহাগ(২৩) ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পূর্ব নলুয়া ইউপির মরফলা গ্রামের মৃত মো. সফির ছেলে এবং চট্টগ্রাম কলেজ এলাকার দেব পাহাড় ইলিয়াছ সাহেবের কোয়ার্টারে বাসকারি মো. ইলিয়াছ ওরফে ইমন (৩০)।

কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়া জানান, চট্টগ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া এক রোহিঙ্গার মরদেহ নিয়ে আঞ্জুমান এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস লেখা এ্যাম্বুলেন্সটি (ফেনী-ছ-৭১-০০১৩) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসে রোববার বিকেলে। মরদেহটি ডেলিভারি দিয়ে ফেরার পথে কুতুপালং টিভি টাওয়ার এলাকা থেকে ২০ হাজার ইয়াবার চালান তুলে চালক হেলপাররা। খবর পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক রূপল চন্দ্র দাস, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, পুলিশ পরিদর্শক এস এম মিজানুর রহমন, এসআই রাজীব কুমার, এএসআই সাজিদুল ইসলাম, কং এমরান হোসেন, তপন কুমার ত্রিপুরা, মোঃ খালেদ, মিরাজ হোসেন সমেত ডিবির একটি টিম কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের সংযোগ লিংকরোড়স্থ কুদরত মেম্বারের অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। এ্যাম্বুলেন্সটি সেখানে আসলে তাকে থামানোর পর তল্লাশী করে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ২০ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। এঘটনায় গাড়িতে থাকা তিনজনকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়- উখিয়ার কুতুপালং টিভি টাওয়ারস্থ ৭ নম্বর ক্যাম্পের রুস্তম আলীর ছেলে কামাল ওরফে আক্তার কামাল (২৮)(এফসিএন নাম্বার-৩০০২৭১)পালংখালী হাই স্কুলের পাশের বাসিন্দা আবুল বশর প্রকাশ বশর(৩২), থাইংখালীর ডিবি চেকপোস্ট এলাকার মোঃ মিজান(২৭) এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাহমুদুর রহমান দাছরা(৪০) তাদের এসব ইয়াবা সরবরাহ করে বলে জানায়। মামলায় এ চারজনকে পলাতক আসামী করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীরা সকলেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স চালানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার করে আসছিল। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করে তাদের কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি অপারেশন মাসুম খান।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম

আরও পড়ুন