আরিফুল ইসলাম রিফাত, লোহাগাড়া »
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় কোরবানি পশুর হাটে ক্রেতা সংকটে ভুগছেন বিক্রেতারা। পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর থাকলেও এখনো জমে উঠেনি বেচাকেনা। প্রায় লোকই দরদাম যাচাই-বাছাই করে চলে যাচ্ছেন। তবে এ উপজেলায় শেষ সময়ে পশুর হাট জমে উঠে বলে জানান স্থানীয়রা।
সোমবার (৪ জুলাই) উপজেলার সবচেয়ে বড় কোরবানি পশুর হাট চুনতি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল এলাকাজুড়ে গরু-ছাগল এবং মহিষ নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এবারের পশু হাট দেশিয় গরুর দখলে রয়েছে। এদিকে হাটভর্তি মানুষ থাকলেও এখনো বেচাকেনা জমেনি।
গরু ব্যবসায়ী আসহাব উদ্দিন বলেন, কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য তিনটি গরু প্রস্তুত করে হাটে তুলেছি। এখন পর্যন্ত একটি গরু বিক্রি করতে পেরেছি। সকলেই দরদাম যাচাই-বাছাই করে চলে যাচ্ছেন। আশা রাখছি, কয়েকদিনের মধ্যে বাকি দুটি গরু ভালো দামে বিক্রি করতে পারব। মোজাফফর হোসেন নামে আরেকজন বলেন, হাটভর্তি মানুষ থাকলেও এখনো পশু বেচাকেনা জমেনি। তবে এ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তা করছি না, কারণ এ উপজেলায় শেষ সময়ে কোরবানি পশুর হাট জমে উঠে।
চুনতি পশু হাটের ইজারাদার আব্দুর রশিদ বলেন, আগামী রোববার ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে, সে হিসেবে কর্মজীবীরা এ সপ্তাহের শেষে বাড়িতে আসবেন। তাই বলা যায় শেষের কয়েকদিন পশু বেচাকেনা ভালো হবে।
লোহাগাড়া থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, কোরবানি পশুর হাটে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, যাতে ক্রেতা-বিক্রেতা নির্ভয়ে পশু বেচাকেনা করতে পারেন। এছাড়া জাল নোট শনাক্তকরণের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে।