৩১ অক্টোবর ২০২৫

লোহাগাড়ায় ৬ দিনেও খোঁজ মেলেনি জাতীয় পার্টি নেতা আনোয়ারের

লোহাগাড়া প্রতিনিধি  »

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতা এবং ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (৪৫) ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিবার ও সংগঠনের নেতারা।মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় বটতলীস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে জাতীয় পার্টি লোহাগাড়া শাখার ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে ওই ব্যবসায়ীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পাওয়ার দাবি জানানো হয়।

নিখোঁজ মোহাম্মদ আনোয়ার উপজেলার সদর ইউনিয়নের দরবেশ হাট সওদাগর পাড়ার মৃত আহমদ হোসেনের পুত্র।এছাড়া তিনি উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য এবং জাতীয় যুব সংহতি লোহাগাড়া উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় পার্টির লোহাগাড়া উপজেলার আহবায়ক মোহাম্মদ ছালেম জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর আনোয়ার রাত ৮ টার দিকে তার দরবেশহাট সওদাগর পাড়া এলাকায় অবস্থিত খামার বাড়িতে ছিলেন।সেখান থেকে টমটমযোগে বটতলী মোটর স্টেশনে ফোরকান টাওয়ারে তার বাসার উদ্দেশে রওনা দেন।এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। তিনি কোনো আত্মীয়স্বজনের বাসায়ও যাননি।আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে অতিদ্রুত কার্য্য পরিচালনা করে আনোয়ার হোসেনকে দ্রুত উদ্ধার করার আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা আনোয়ারের স্ত্রী নারগিস আক্তার বলেন, বিগত ইউপি নির্বাচনে আমার স্বামী আনোয়ার হোসেন লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করায় কিছু কুচক্রী মহলের রোষানলে পড়েছে।আমার জানামতে তার ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়ীক কোনো শত্রু নেই।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি আমার স্বামীকে দ্রুত অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির লোহাগাড়া উপজেলার আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছালেম, সদস্য সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সওদাগর, যুগ্ম আহবায়ক খালেদ বাদশা, যুগ্ম আহবায়ক আবদুল ওয়াহাব খোকন, মোহাম্মদ ইলিয়াস মেম্বার, সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা সিফাত উল্লাহ।উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি জামাল উদ্দিন হিরু, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
এছাড়া আনোয়ার হোসেনের পরিবার থেকে মা জান্নাত আরা বেগম, স্ত্রী নারগিস আক্তার, ছোট ভাই খোরশেদ আলম শিমুল বড় ছেলে সাইদী, মিশকাত ও ইবনুল।

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন