সব ফেরার জন্য
ফুরিয়ে যাচ্ছে কথা বলার বছর
কাঁটা আর সাদা অংশে
প্রাণীটার গলায় টিক টিক,
প্রতিধ্বনি হয়,
ঘুরন্ত বেচাকেনার শহরে
হৃৎপিন্ড বেজে উঠলো,
কিন্তু ঠিক মতো চললো না।
রাস্তা একটা ধরে হাঁকডাক করলাম
পথের ছায়া আর ধুলো
বাসা সাজালাম
হাঁক দিলো নিলাম বলে,
আস্ত পথ কিনতে এলো না
খোলোস ছাড়ার আগে
ডিসেম্বরের ধুকপুকুনি
চিরচেনা অস্তিমজ্জায়
দেখায় ললাট অক্ষরখানি।
অকম্পিত পদক্ষেপে সারাদিন চলেছে 
যে দেহের বিচ্ছেদে 
অজানা গ্রহে ফিরে যাওয়া হয় 
দূরে সমাপ্তির চরে 
প্রজাপতি ও ঘরদোর নিলো 
শুধু নিঃশ্বাস, কিছুকাল।
ধাবমান আমি
অবহেলার দীর্ঘ নদী ঘুরে ঘুরে 
পড়ে থাকে অন্ধকারে 
মুক্ত করে বেণী পিছিল হিমস্রোতে 
ছলকে গেল ঈষদুষ্ণ চাঁদ 
রাতের বুকে।
অন্তিম কোরাসে ভাসছে গন্তব্যে 
ঘাটে ঘাটে মহাকাল 
কারুকর্মী আঁকে সকাল 
ঢেউ ছিঁড়ে চলে যায় গতির মাতাল 
কেঁপে কেঁপে পার হয় 
সারারাত জলের ছলছল।
ফেরাতে পারিনা মুখ, 
নিষিদ্ধ আজ নিজের পিপাসার ইচ্ছাতে 
ফেনায় শুধু দুঃখ কাম প্রেম 
ফলাতে পারলাম না কোনো ফল 
ধাবমান গতির রাগে অনুরাগে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএ/এএ
				












