২৪ অক্টোবর ২০২৫

শরণার্থী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাকে পিটিয়ে মারলো রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজা »

কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের প্রহারে এক রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন।

বুধবার (১৪ জুলাই) দিনের প্রথম প্রহরে ক্যাম্পের গার্মেন্টস এলাকায় তাকে সন্ত্রাসীরা ধরে পিটিয়ে হত্যা করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (১৬ এপিবিএন) অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক।

নিহত রোহিঙ্গা মো. শাকের (৪৫) নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের ব্লক-সি’র শেড নং- ৮৯২/১ এর বাসিন্দা। তিনি আবু তালেবের ছেলে।

১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) তারিক জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নয়াপাড়া ক্যাম্পের বি ব্লকের রোহিঙ্গা এনামত ওরফে এনাম একই ক্যাম্পের অপর রোহিঙ্গা শাকেরকে মারধর ও মাথায় টর্চ লাইট দিয়ে আঘাত করে। খবর পেয়ে ক্যাম্প অভ্যন্তরে নিয়োজিত টহলরত অফিসার ও ফোর্স তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আইপিডি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে নয়াপাড়া এ‌পি‌বিএন ক্যাম্পের একা‌ধিক চৌকস টীমও টেকনাফ থানা পুলিশ সম্ভাব্য সকল স্থা‌নে যৌথ অ‌ভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সা‌থে জ‌ড়িত সন্দেহে ১০ জন‌কে আটক করে। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে শাকেরের মরদেহ।

ক্যাম্প সূত্র জানায়, নিহত শাকেরের সাথে বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পের অন্যতম সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রধান জকির ডাকাতের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ ছিল। জকির ডাকাতের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে প্রায় বছর দেড়েক ধরে ক্যাম্পের বাইরে অবস্থান করতো। বেশ কয়েক মাস আগে জহির ডাকাত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এরপর শাকের আবার ক্যাম্পে ফিরে একটি ম্যাকানিক্যাল দোকান পরিচালনা করে আসছে।

অপর একটি সূত্র বলছে, শাকের ক্যাম্পে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবেও বেশ পরিচিত। হয়তো সেই কারণে সন্ত্রাসীরা তাকে খুন করেছে। এ ঘটনা ক্যাম্পের হালসময়ের আলোচিত সন্ত্রাসী বাহিনী শালমান শাহ গ্রুপের কাজ বলেও ধারণা স্হানীয় সাধারণ রোহিঙ্গাদের।

১৬ এপিবিএন অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম তারিক (এসপি) জানান, শাকেরকে খুনের ঘটনায় আটক দশজনকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন