২৯ অক্টোবর ২০২৫

শিপিং এজেন্টের নির্বাচনে প্রার্থীর বৈধতা নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন!

বাংলাধারা ডেস্ক »

শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের নির্বাচনে এক প্রার্থীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিজ কর্মস্থল থেকে পদত্যাগ করায় ওই প্রার্থীর বৈধতা থাকার কথা নয়। এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৪ এপ্রিল শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে শাহেদ সরওয়ার এবং সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ (সম্মেলিত পরিষদ) নামে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। শাহেদ সরওয়ার প্যানেলে নেপথ্যে আছেন সাবেক সভাপতি ড.পারভেজ সাজ্জাদ আকতার।

এসোসিয়েশনের সূত্র জানায়, শাহেদ সরওয়ার প্যানেলের প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির পিআইএল থেকে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। পিআইএলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ৩০ এপ্রিল পর তিনি পিআইএলে থাকছেন না। নতুন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের কথা রয়েছে।

শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনে ভোটার হন প্রতিষ্ঠানের মনোনীত প্রার্থী। এ হিসেবে তিনি পিআইএল এর প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ নেই। এসোসিয়েশনের ‘আর্টিকেল অব এসোসিয়েশন’ এর ১ (ডি) ধারায় বলা হয়েছে, শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সদস্য বলতে শিপিং এজেন্টস হিসেবে কাস্টমস কর্তৃক লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। আবার যে প্রতিষ্ঠান এসোসিয়েশনের অর্ডিনারি বা এসোসিয়েট ক্যাটাগরির নিবন্ধিত সদস্য।

এসোসিয়েশনের সদস্যরা জানান, প্রতিষ্ঠানই সদস্য হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের কোনো মনোনীত প্রতিনিধি যদি সেই প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করেন তাহলে এসোসিয়েশনে তার কোনো ভূমিকা থাকার কথা নয়। এর আগে কসকো শিপিংয়ের একজন পরিচালক পদত্যাগ করার পর এসোসিয়েশনে তার পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি নেন।

গত ৯ মার্চ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের নির্বাচন বোর্ড বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে। প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে আবদুল্লাহ জহিরের। বৈধ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েছে ১৮ মার্চ।

এসোসিয়েশন সূত্র জানায়, এবারের মোট ভোটার ২৬৭। এদের মধ্যে অর্ডিনারি ক্যাটেগরিতে ১৪৫ এবং এসোসিয়েট ক্যাটেগরিতে ১২২।

প্রার্থী ছাড়াও এবারের নির্বাচনে অন্তত পাঁচজন ভোটার নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছিল। নিয়ম অনুযায়ী ইটিআইএনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও পুরনো টিআইএন সনদ জমা দিয়ে ভোটার হয়েছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান।এর মধ্যে সমুদ্রযাত্রা শিপিং যে টিআইএন সনদ জমা দিয়েছে সেটি জাল বলে জানা গেছে। এই প্রতিষ্ঠানটির টিআইএন সনদে মার্শা হোল্ডিংস লিমিটেডের নাম রয়েছে। এরপরও ভোটার তালিকা থেকে এটির নাম বাদ দেওয়া হয়নি।

নির্বাচনের আগে এমন বিতর্ক নিবার্চন বোর্ডকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/এআই

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ