৫ নভেম্বর ২০২৫

শিল্পীদের প্রতীকী কর্মসূচির সমালোচনা চিন্তারই দৈন্যতা

বাংলাধারা ডেস্ক »

ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত শুক্রবার বিএফডিসিতে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের উপস্থিতিতে এতে অংশ নেন তথ্য সচিব আবদুল মালেক, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম, চলচ্চিত্র প্রযোজক, চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলীসহ এফডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ওই কর্মসূচির ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই নিয়েই তুমুল সমালোচনা আর ট্রল করছে মানুষজন।

এটি নিয়ে ফেইসবুকে কেউ কেউ তির্যক মন্তব্য করছেন, ব্যঙ্গ করছেন। বিএফডিসি প্রাঙ্গণে পরিস্কার রাস্তায় এডিস মশা জন্মানোর কারণ নেই জানিয়ে সেখানে মশা নিধনের যৌক্তিকতা নিয়েও কেউ কেউ অহেতুক প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ তারা খবরই রাখেননি যে, মশা নিধন অভিযানটি নিছক প্রতীকী। এভাবে মশা নিধনের প্রতীকী অভিযানের বিষয়টি কেউ কেউ না জেনে-না বুঝে, আর কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সমালোচনা করছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, যারা এমন ট্রল করছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই সরকারবিরোধী মনোভাবাপন্ন। তাদের প্রায় সবাই বিএনপি-জামায়াত ঘরানার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও নানা ধরনের প্রতীকী কর্মসূচি পালন করে আসছে বিভিন্ন সময় থেকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এ ধরনের প্রতীকী কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন, তিনি তো আর পুরো নয়াদিল্লী পরিস্কার করেননি।

একইভাবে মশা নিধনে প্রতীকী কর্মসূচি পালন করায় তথ্যমন্ত্রী ও চলচ্চিত্র শিল্পীরা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। এতে মানুষ এডিস মশা নিধনে উদ্বুদ্ধ হবে, সচেতন হবে। আর যারা কিছুই করেননি, বসে বসে সমালোচনা করছেন তাদের চিন্তার দৈন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এবিষয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, দেশের যে কোনো সমস্যায় শিল্পীরা কিন্তু পাশে ছিল। দায়িত্ববোধ থেকে শিল্পীরা মাঠে নেমেছে, রাস্তায় দাঁড়িয়েছে। যে কোনো সময়ই হোক শিল্পীরা কিন্তু জনগণ ও সরকারের পাশেই ছিল। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানাতে ও মানুষকে সচেতন করতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আমরা ওইদিনও মাঠে নেমেছি। কিন্তু এটা নিয়ে মানুষের এমন মন্তব্য হবে আশা করিনি।’

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ