২৩ অক্টোবর ২০২৫

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে সরকার

ক্ষমতাচ্যুত ও ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য কেউ ভবিষ্যতে প্রকাশ করলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। কারণ তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি। এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘৃণা ছড়ায় এমন বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল।”

সরকার জানায়, “আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করেছি, ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার কিছু গণমাধ্যম আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার একটি মিথ্যা, উসকানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর ভাষণ প্রচার করেছে। এ ধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্মে যুক্ত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের আমরা সতর্ক করছি। একইসঙ্গে জানাচ্ছি, ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সরকার আরও জানায়, “শেখ হাসিনা গত জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের সময় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন এই অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তিনি বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারাধীন। সেই প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।”

সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী, নিষিদ্ধ দলের নেতাদের বক্তব্য প্রচার করলে ব্যক্তির বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় সরকার।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশে ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, “বাংলাদেশের জনগণ প্রথমবারের মতো সত্যিকার অর্থে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সময় শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতা উসকে দিতে পারে।”

সরকার গণমাধ্যমগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণ এবং উসকানিমূলক কোনো প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে জানায়, “এ ধরনের কার্যক্রম শুধু জনগণকে বিভ্রান্তই করে না, বরং দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথেও বিঘ্ন সৃষ্টি করে। যে কোনো গণমাধ্যম এ বিষয়ে আইন লঙ্ঘন করলে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে।”

আরও পড়ুন