বাংলাধারা ডেস্ক »
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে রনিল বিক্রমাসিংহে। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এই খবর জানানো হয়। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন রনিল।
বিক্রমাসিংহের প্রদত্যাগের পরই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বড় ভাই ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মহিন্দা রাজাপাকেসের নাম ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্ষমতাসীন রনিল বিক্রমাসিংহের দল ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি’র প্রার্থী সজিথ প্রেমাদাসাকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন গোটাবায়া রাজাপাকসে। তারপরই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য বিক্রমাসিংহের উপর চাপ বাড়তে থাকে। যার প্রেক্ষিতে বুধবার ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার এক বিবৃতিতে বিক্রমাসিংহে বলেন,‘আমাদের পার্লামেন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ তারপরও আমরা প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। তিনি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন করতে পারেন এজন্যই আমি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি গণতন্ত্রকে সম্মান করি এবং গণতান্তিক উপায়ে দেশ পরিচালনায় বিশ্বাসী।’
শ্রীলঙ্কার চলতি পার্লামেন্টে বিক্রমাসিংহের দল এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ। চাইলে শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আগে আগামী মার্চ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে পারতেন বিক্রমাসিংহে।
শ্রীলঙ্কায় ২০১৫ সালের আগস্টে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত এই পার্লামেন্টের মেয়াদ আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। সাংবিধানিকভাবে তার আগে সরকার ভেঙে দিতে পারবেন না প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া। এখন তার সামনে দুটি পথ খোলা আছে। মার্চে নতুন পার্লামেন্ট নির্বাচন হওয়ার আগ পর্যন্ত একটি কেয়ারটেকার সরকারকে নিয়োগ দিবেন প্রেসিডেন্ট গোয়াবাট। অথবা পার্লামেন্টের বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়া অব্দি আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ













