বাংলাধারা প্রতিবেদন »
করোনায় আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা। মাস খানেক আগেও মেশিনটির সংকট ছিল চট্টগ্রামে। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালগুলোর জন্য অনেকটাই সহজলভ্য হয়ে গেছে যন্ত্রটি। বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী এবং ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার হিসেবে মেশিনটি পেতে পেতে এখন আর তা নিতে চাইছে না হাসপাতালগুলোই!
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুমূর্ষু রোগী কমে যাওয়ায় এ মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে না। দুই থেকে তিন লাখ টাকা মূল্যের এক একটি মেশিন দিয়ে রোগীকে প্রতি মিনিটে ৫০ লিটার অক্সিজেন দেওয়া যায়। খবর- ‘বাংলানিউজের’
করোনার চিকিৎসা দেওয়া চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ১৭টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ২টি থাকলেও একবারও ব্যবহারের সুযোগ হয়নি মেশিনগুলো।
একই অবস্থা ইউএসটিসি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালেও। হাসপাতালটিতে ৪টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। কিন্তু তাও রয়েছে অব্যবহৃত অবস্থায়।
সবচেয়ে বেশি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে মা ও শিশু হাসপাতালে। অন্তত ৪০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন থাকলেও ব্যবহার হচ্ছে ৭-৮টি।
এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, আমাদের হাসপাতালে যে পরিমাণ হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে, সবগুলো ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।
‘তাই কেউ হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিন দিতে চাইলে আমরা তাতে নিরুৎসাহিত করছি। যদি কোনো কিছু দিতে চায় তাহলে তা অন্যান্য মেডিক্যাল উপকরণ দিতে অনুরোধ করছি। ’
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে পরিচালক ডা. কামরুল হাসান বলেন, আমাদের হাসপাতালে আগে না থাকলেও এখন ৪টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। ‘তবে এই হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ব্যবহারের মতো রোগী আমাদের করোনা ওয়ার্ডে নেই। এছাড়াও হাসপাতালের আইসিইউ বেডও খালি রয়েছে। ’
ন্যাজাল ক্যানোলা ব্যবহারের বিষয়ে প্রায় একই মত পোষণ করেছেন আগ্রাবাদের বেসরকারি মা ও শিশু হাসপাতাল এবং ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যানুসারে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৮০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। যা দিয়ে রোগীদের উচ্চচাপে অক্সিজেন সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাধারা/এফএ/টিএম/ইরা