বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্ধারণে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা বসার কথা আজ সোমবার। চট্টগ্রামের তিন উপজেলার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকেই ঢাকায়। চলছে শেষ মুহূর্তের চেষ্টা-তদবির।
মিরসরাই, সীতাকুণ্ড ও ফটিকছড়ি উপজেলার মোট ৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে প্রতিযোগিতায় আছেন প্রায় আড়াই শতাধিক প্রার্থী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মনোনয়ন দৌড়ে প্রবীণ-নবীন নেতাদের পাশাপাশি বর্তমান চেয়ারম্যানরাও আছেন। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আছেন এমনকি জেলা আওয়ামী লীগের নেতাও আছেন।
তবে আলোচনা চলছে ডিও লেটার নিয়ে। তিন উপজেলা থেকেই তিনটি ডিও লেটার কেন্দ্রে গেছে এমন গুঞ্জন নেতাকর্মীদের মাঝে আছে। ডিও লেটারে প্রতি ইউনিয়ন থেকে পছন্দের একজন প্রার্থীর নাম দিয়ে তালিকা পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এছাড়া কোন কোন জ্যেষ্ঠ নেতাও তাদের পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন পাওয়ার জোরালো তদবির করছেন। মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন।
অভিযোগ আছে, সেই ডিও লেটারে রয়েছে টানা তিনবারের চেয়ারম্যানরাও।
মনোনয়ন ও ডিও লেটার সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে মনোনয়নের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার রিপোর্ট এবং সংগঠনের রেজুলেশন বিচার বিশ্লেষণ করে বোর্ড মনোনয়ন দেয়। কোন জনপ্রতিনিধি ব্যক্তিগতভাবে দলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কিংবা মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যের কাছে ডিও লেটার দিতে পারেন। মনোনয়ন বোর্ড শুধুমাত্র সংগঠনের রেজুলেশনই গ্রহণ করে। কারণ তৃণমূলের রেজুলেশন গ্রহণের কথা গঠনতন্ত্রে বলা আছে।
মিরসরাই উপজেলায় ১৬ ইউনিয়নে প্রার্থী রয়েছেন ১৩০ জন। প্রথমে প্রতি ইউনিয়নে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ৪৮ জনের এবং পরে তা আরো সংক্ষিপ্ত করে ১৬ জনের নামে ডিও লেটার পাঠানো হয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত তালিকায় অনেক জনপ্রিয় এবং ত্যাগী নেতার নাম আসেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, কয়েকজন প্রার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, নির্বাচন মনোনয়নকে ঘিরে তা ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ১৪ ইউনিয়নের ১৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর গোপন তালিকা আলাদাভাবে মনোনয়ন বোর্ডে প্রেরণের খবর নেতাকর্মীদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এমন গুঞ্জনে অনেক প্রার্থী হতাশা প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলায়ও একই ধরনের ডিও লেটার দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একারণে যোগ্যদের বাদ পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
বাংলাধারা/এফএস