কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বাঘখালী রেঞ্জের সংরক্ষিত বনে নির্মাণাধীন দুটি পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কচ্ছপিয়া বিটের নতুন তিতার পাড়া এলাকায় মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে প্রায় এক একর বনভুমি জবরদখল মুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনানুগ নেয় হচ্ছে বলে জানান অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া বাঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহি।
তিনি জানান, বাঘখালী রেঞ্জের কচ্ছপিয়া বিটের নতুন তিতার পাড়া এলাকায় একদল প্রভাবশালী সরকারি সংরক্ষিত বনের কাছে বনভূমি জবরদখল করে পাকাবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। খবর পেয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তহিদুল ইসলামের নির্দেশে রেঞ্জ ও বিট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারি, ভিলেজারসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে বনভূমি জবরদখল মুক্ত করা করা হয়েছে।
অপরদিকে, একইদিন দুপুরে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে বনভূমিতে মুরগীর ফার্ম তৈরিকালে অভিযান চালিয়ে পাকা প্লিয়ারসহ নানা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। কক্সবাজার সদরের সহকারি বন সংরক্ষকের (এসিএফ) নির্দেশে পিএমখালী রেঞ্জের স্টাফ , বিশেষ টহল বাহিনী ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের যৌথ টিম এ অভিযান চালান বলে জানিয়েছেন উত্তর বন বিভাগের বিশেষ টহল বাহিনীর ইনচার্জ এমদাদুল হক।
তিনি বলেন, অভিযানে অবৈধভাবে সরকারী পিএফ বনভূমিতে মুরগির ফার্ম নির্মাণের উদ্দেশে সদ্য ঢালাই কৃত কংক্রিটের পিলার নষ্ট এবং অবৈধ ভাবে গড়া একটি পান বরজ ভেঙে দেয়া হয়। জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে পি ও আর বন মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রভাবশালী লোভী প্রকৃতির কিছু লোক পাহাড়ের ভেতর চলমান ছরা থেকে অনিয়ন্ত্রিত বালি উত্তোলন, সংরক্ষিত বন দখর করে বাড়ি নির্মাণ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চেষ্টা চালান। খবর পেলেই অভিযান চালিয়ে বনভূমি জবরদখল মুক্ত করা হয়। এসব অভিযান শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বন ও পাহাড় রক্ষায় এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর উত্তর বন বিভাগের ঈদগাঁওর মেহেরঘোনা রেঞ্জের মাছুয়াখালী বিটের কানছিরাঘোনায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলনকালে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সেলো মেশিন, পাইপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মামুন মিয়ার নেতৃত্বে চালানো অভিযানের পর অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করা স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে। এতে একজনকে প্রত্যক্ষ ও একাধিকজনকে পরোক্ষ আসামী করা হয়।
বাংলাধারা/এফএস/এএ













