নিজস্ব প্রতিবেদক »
সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জোড়ামতল সাগর উপকূলীয় এলাকায় গত এক বছর আগে চার’শ মিটার বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৪শ মিটার বেঁড়িবাধ নির্মাণে কাজে ব্যয় হয়েছে ১৭ লাখ টাকা। কিন্তু বছর শেষ না যেতেই ভাঙন শুরু হয়েছে সংস্কারকৃত এই বেড়িবাঁধটি।
সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোড়ামরা (পাক্কা মসজিদ) এলাকায় ছয়’শ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায় প্রায় ১৫ বছর আগে। অমাবস্যা-পূর্ণিমাসহ বিভিন্ন সময়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়তো। এতে এসব ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে দিন যাপন করতে হতো। সাগরের লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতো। ফলে উপকূলীয় ওই এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত নানা আশংকার মধ্যে দিন পার করতো।

প্রতিবছর প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মেরামতের আশ্বাস দিলেও দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি দীর্ঘ ১৪ বছরে। অবশেষ স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম এবং জেলা পরিষদের সদস্য আ.ম.ম দিলসাদের সহযোগিতায় গত বছর ৪শ মিটার বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু নানা জটিলতায় একই এলাকার সাগর উপকূলে ভেঙে যাওয়া আনুমানিক ২শ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হয়নি ওই প্রকল্পের। ফলে ভাঙা ওই অংশ দিয়ে প্রতিদিন গৃহস্থ বাড়ি ও ফসলি জমিতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এতে গ্রামবাসীর নিজ বাড়িঘরে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক বছর আগে নির্মাণ করা বেড়িবাঁধের বেশ কিছু অংশে বড় বড় গর্ত হয়েছে। ওসব অংশ থেকে অনেকগুলো বালির বস্তা সরে গেছে।
জানতে চাইলে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, গত বছর বর্ষা মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড তড়িগড়ি করে বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করে। ফলে বেড়িবাঁধটি আবারও ভাঙনের মুখে পড়েছে। এলাকার মানুষ আগের মত কষ্ট পাচ্ছে।

মোহাম্মদ মামুন নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ৬শ মিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৪শ মিটার বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ করে পানি উন্নায়ন বোর্ড যা বর্তমানে ভাঙনের মুখে। সাথে থাকা ২শ মিটার বেড়িবাঁধ দীর্ঘ ১৫ বছরেও সংস্কার না হওয়ার সাধারণ মানুষ কষ্টে দিন পার করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ আনিস হায়দার বলেন, আমি বেশ কয়েকবার জায়গাটি পরিদর্শনে যাই, ভাঙনের অংশটি ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়া কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আর গত বছর নির্মাণ করা বেঁড়িবাধের কয়েকটি অংশ থেকে কিছু বস্তা সরে য়াওয়ার তথ্য পেয়েছি আগামী অর্থবছরে সীতাকুণ্ডের ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
বাংলাধারা/এসএস













