২ নভেম্বর ২০২৫

কালুরঘাট সেতু/ মানববন্ধনে ব্যারিস্টার মনোয়ার

‘সংস্কারের নামে সেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যকে ভিন্নখাতে নেয়া হচ্ছে’

কালুরঘাট সেতু নির্মাণ নিয়ে ‘ষড়যন্ত্র’ হচ্ছে জানিয়ে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেছেন, সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও কোন ষড়যন্ত্রের কারণে এ কালুরঘাট সেতু হচ্ছে না— এটাই এখন জানতে চায় জনগণ।

তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে প্রথম কালুরঘাট সেতু পুনঃনির্মাণের দাবি তুলেছিলাম আমরা। সেতু সংস্কার কখনোই নতুন সেতুর বিকল্প হতে পারে না। নতুন সেতু হতেই হবে। বারবার প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরও আমরা নতুন সেতু পায়নি। যারা নতুন সেতুর বিরোধিতা করে বলছেন দুই লক্ষ মানুষের জন্য সেতুর কি দরকার, তারা দেশের শত্রু। তাদের উদ্দেশে বলছি, এই সেতু নির্মিত হলে জাতীয় অর্থনীতি সম্বৃদ্ধ হবে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক দ্বার উন্মোচিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে আগামী নির্বাচনের আগে নতুন সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে পাশ করে একটা ঘোষণা দিন।’

ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘জরাজীর্ণ ৯২ বছরের পুরোনো সেতু সংস্কারের নামে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গবেষণা টিম ফাইনাল রিপোর্ট দেয়নি। তারা আংশিক রিপোর্ট দিয়েছে। অন্তরবর্তিকালীন রিপোর্টের ভিত্তিতে ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরোনো সেতু মেরামত করার পরিকল্পনা থাকলে কক্সবাজার রেল লাইন সম্প্রসারণের সময় করতেন। এখন এই উদ্ভট চিন্তা কি বার্তা দিচ্ছে তা আমরা বুঝি।’

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে পূর্ব কালুরঘাটে অবিলম্বে কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণের দাবিতে এবং পুরাতন সেতু সংস্কারের নামে অগণিত মানুষের ভোগান্তির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম সেলিম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, লোকমান চৌধুরী, বোয়ালখালী প্রেস ক্লাব সভাপতি এসএম মোদ্দাচ্ছের, সিরাজুল ইসলাম, গাউছিয়া কমিটি বোয়ালখালী শাখার সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম মুন্সি, মো. জাহাঙ্গীর, ফজলুল কবির, ঝিনুতোষ বড়ুয়া পল্টু, শহীদুল্লাহ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন