বাংলাধারা ডেস্ক »
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সকলকে আইন মানার অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে বলেছেন, আমরা সবাই পড়তে পারি, বুঝতে পারি এবং শিক্ষিত হওয়ার পরও আমরা কেউ আইন মানি না।সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে আইন মানা জরুরি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল চারটায় নগরীর জামালখানস্থ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হল মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০১৯ এর মাসব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন ।
নতুন সড়ক আইন সম্পর্কে নিসচা’র চেয়ারম্যান বলেন, ১ নভেম্বর থেকে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮। এই আইনে এখন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সড়কে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। ফিটনেসবিহীন যানবাহন, লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো, উল্টোপথে চলা, যত্রতত্র দিয়ে রাস্তা পারাপার, আইন না মানা- এই সংস্কৃতি থেকে সকলেই বেরিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, হাউজিং ও এপার্টমেন্ট সোসাইটি, স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, মসজিদ-মাদ্রাসার ইমাম ও শিক্ষকগণ এবং সকল সামাজিক সংগঠন বিশেষ করে রোড সেফটি বিষয়ে কাজ করছেন সে সকল সংগঠনসহ সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে পরিবহন চালক-মালিক ও জনগণের মানসিকতা পরিবর্তনে বিভিন্ন ধরণের কর্মসূচি পালনে আরও তৎপর হয়ে উঠতে হবে।
নিসচা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে সারাদেশে সড়ক নিরাপত্তামূলক ১ হাজার ৩টি কর্মসূচি পালন করেছে নিসচা। সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাস্ট্র, সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশেও এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। টানা ২০ দিন পথচারীদের মাঝে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং গাড়ি চালক ও যাত্রীদের মাঝেও ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছি।
তিনি বলেন, ‘এবার মাসব্যাপি কর্মসূচি প্রণয়নের সময় বলেছিলাম ঢাকায় শুরু করবো আর শেষ করবো চট্টগ্রামে। আর চট্টগ্রামকে বেছে নেয়ার দুটো কারণ রয়েছে। একটি হল আমরা নিরাপদ সড়ক চাই’র শুরু থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়েছি। সবাইকে নিয়েই সবসময় এগুতে চাই। আর দ্বিতীয় কারণটি হল চট্টগ্রাম আমার জীবনের একটি অধ্যায় হয়ে আছে। এই চট্টগ্রামেই আমি আমার জাহানারাকে হারিয়েছি। যাঁর মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এই আন্দোলনের সূচনা’।
নিসচা চেয়ারম্যান আরও বলেন, আগের সরকার সড়ক দুর্ঘটনা নিরসন ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে তেমন আন্তরিকতা ছিল না। কিন্তু বর্তমান সরকার আন্তরিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিশেষ করে চালক তৈরির প্রশিক্ষণের অভাব নিরসনে প্রশিক্ষণ তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়া, লাইসেন্সবিহীন চালকদেরলাইসেন্সের আওতায় আনা, হালকা যানবাহনের চালকদের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে যোগ্যতা সাপেক্ষে ভারি যান চালানোর লাইসেন্স প্রদান, সঠিক ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানো, সড়কে ট্রাফিক আইনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে মনিটরিংয়ের নির্দেশনা, পথচারীদের সচেতন করে গড়ে তুলতে গণমুখী প্রকল্প তৈরি ও বাস্তবায়ন এবং সড়ক-মহাসড়কে ক্রটি নিরসনে উদ্যোগ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব সাইফুল ইসলাম কামাল, যুগ্ম মহাসচিব লিটন এরশাদ, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব, সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সাজীব ও সদস্য শাহ নেওয়াজ রিটন।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম
				












