বাংলাধারা প্রতিবেদন »
এ যেন থ্রি ইডিয়টস ছবির শেষ দৃশ্যপট। নানা নাটকীয়তায় ভূমিষ্ট হয় শিশুটি। কিন্তু কান্না করছিল না। ঘরোয়া চিকিৎসায় সফল না হওয়ায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। কিন্তু লকডাউনে তারা গাড়িও পাচ্ছিলেন না। শেষে কোতোয়ালি থানার সহযোগিতা চেয়ে ফোন করলে তারাই হাসপাতালে নিয়ে যায় শিশুটিকে।
শিশুটির মা জানায়, লকডাউনের কারণে গাড়ি পাচ্ছিলাম না। খুব অসহায় বোধ করছিলাম। জন্মের পর বাচ্চা কাঁদছিল না। চিন্তাও হচ্ছিল প্রচুর। এমন সময় কোতোয়ালি থানায় ফোন করলে এস আই ইকবাল হোসের ভূঁইয়া গাড়ি নিয়ে ছুটে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত, হাসপাতাল, ডাক্তার, আইসিইউ, ফার্মেসি পর্যন্ত ছুটোছুটিও করেছেন তিনি নিজেই।
কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ইকবাল হোসের ভূঁইয়া বাংলাধারাকে জানান, আমাদের ফোন করলে আমাদের গাড়িতেই হাসপাতালে নিই। ডাক্তারদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শেষে কেঁদে উঠে শিশুটি, হাসি ফুটে মায়ের মুখে, বাচ্চার কান্না দেখে আনন্দে হেসে উঠলেন মা, হেসে উঠলাম আমরা সবাই।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম













