১৩ নভেম্বর ২০২৫

সন্ত্রাস দমনে ‘অস্ত্রধারী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশনা’ সিএমপি কমিশনারের

আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র ব্রাশফায়ার করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক ধারাবাহিক গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দমন এবং নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিএমপি কমিশনার এ নির্দেশ দিলেন।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ওয়্যারলেস সেটে সিএমপির সব সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক মৌখিক আদেশে তিনি টহল ও থানা পুলিশকে একযোগে তিনি এ নির্দেশনা দেন। তবে ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয় উল্লেখ করে কমিশনার তা অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসীদের জন্য বলে নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম নগরে গত কয়েক মাসে একের পর এক গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত ৫ নভেম্বর বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীতে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগ চলাকালে গুলিতে নিহত হন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন বাবলা; আহত হন এরশাদ উল্লাহ নিজেও। এর আগে অক্সিজেন-হাটহাজারী, চান্দগাঁও, রাউজান ও বাকলিয়া এলাকায় একাধিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। সর্বশেষ পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে সন্ত্রাসী আকবর আলীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।

পুলিশের দাবি, এসব ঘটনায় পাহাড়ি এলাকার অস্ত্রধারী চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তবে মূল আসামিরা এখনো ধরা পড়েনি।

সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ জানান, “নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের জন্য এই নির্দেশ নয়। যার হাতে অস্ত্র থাকবে, শুধু তাদের বিরুদ্ধেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, “আমার এলাকায় দিনের আলোতে খুন হবে, আর পুলিশ চুপ করে থাকবে এটা আর চলবে না। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা যেন চট্টগ্রামে ঢোকার সাহসই না পায়, সেটাই নিশ্চিত করব।”

বেতার বার্তায় কমিশনার পুলিশ সদস্যদের দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ ধারা, অর্থাৎ আত্মরক্ষার আইনি অধিকার স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে তিনি নিজেই দায়িত্ব নেবেন। সঙ্গে টহল টিমগুলোকে এসএমজির পাশাপাশি শটগান, গ্যাসগান ও ৯ মিলিমিটার পিস্তল বহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদারে স্থায়ী চেকপোস্টের সংখ্যা ৭ থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করার নির্দেশও দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ