চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বেড়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ,ক্ষমতার পালাবদলে হাত বদলিয়ে চলছে রমরমা মাদক ব্যাবসা। গেলো ৫আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর, নতুন করে বিএনপির নাম বিক্রি করে ব্যবসায় বসে স্থানীয় কিছু মাদক-কারবারীরা।
শুক্রবার(২৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ ও কোস্ট গার্ড সন্দ্বীপ জোনের যৌথ অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়। আটক কৃতরা হলেন ,উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়েনের কাজী বাড়ির কাজী জয়নুলের ছেলে কাজী জিহাদ(২৯) ও চৌকাতলীর ইউসুপ আলী বাড়ির ইউসুফ আলীর ছেলে কাউসার আজিম(২৯)।
জানা যায়, রাত হলেই সন্দ্বীপের সারিকাইত ইউনিয়নের এক বসত বাড়িতে বসে মাদকের রমরমা হাট। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন কোস্ট গার্ড ও সন্দ্বীপ থান পুলিশ । অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে কে ইয়াবা বিক্রির সময় হাতেনাতে পাওয়া যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোটর সাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করাকালে সড়কের স্পিড-ব্রেকারের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলে পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৫পিছ ইয়াবা ও লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
এমনকি সরকার পতনের পর যুবদল কর্মী পরিচয়ে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে স্থানীয় কাজী পাড়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেন স্থানীয়রা। তবে এসব কিছুর বিষয়ে জানেনা বললেন একই ইউনিয়নের যুবদল আহ্বায়ক নুরনবী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার কাউছার আজম সোহেল এর আগেও এলাকায় নারী কেলেঙ্কারীসহ একাধিক ঘটনার সাথে জড়িত।
এঘটনার বিষয়ে সন্দ্বীপ থানা পুলিশের পরিদর্শক মো. জাফর বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চলমান রয়েছে।
তবে, এই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করার জন্যে স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতাকে থানার ভিতরে ঘুরপাক করতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে দলীয় পরিচয়ে ক্ষমতার পালা বদলে বদলেছে মাদক ব্যবসায়ী। সন্দ্বীপ একটি দ্বীপাঞ্চাল হলেও , মাদক এতটায় সহজলভ্য যে হাত বাড়ালেই পাওয়া ইয়াবা ,মদ, গাজাসহ হরেক রকমের নেশার সামগ্রী। এখন দ্বীপবাসীর প্রশ্ন- প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন অপকর্ম কীভাবে সংঘটিত হচ্ছে! এদের নেপথ্যে কারা?
এআরই/বাংলাধারা/২০২৫