২৯ অক্টোবর ২০২৫

সফেদ বিহঙ্গের দু’টি কবিতা

১.

স্মৃতির এ্যালবাম

একা রাস্তায় পথ হাঁটতেই
মনের গলিতে কাঁটা ফুটতেই
ফিরে চাই যেন পিছু বারেবার
কিছু হারিয়েছি কিছু লেনদেন
নেই দেনা পাওনার স্মৃতি এ্যালবাম।

আমি ছুটে যাই যেন ধাবমান
হারাই নিজেকে খুঁজি বারেবার
নীরব নিশীথে কিছু পাওনা
কিছু লেনদেন কিছু বায়না
রয়ে যায় যেন মনের আকাশে
দিয়ে যায় কিছু বাতাসের সাথে
মিষ্টি সুখের আলোড়ন।

আমি ভুলে যাই সকল দুঃখ
দেনা পাওনার হিসেব নিকেশ।
ফিরে যাই সুখে মনের আকাশে
নিভ্রিত প্রানে যেথা বাঁশি বাজে
খুঁজে ফিরি যেন কৃষ্ণ কানাই
মনের আবেগে কেঁদে।

প্রানের মিলনে সুখী হবো জেনে
খুঁজিনি বিশ্ব আঁকিনি স্বপ্ন
মুছে ফেলি সব জড়তা।
আমার আকাশে ফের তারা ভাসে
নতুন স্বপ্নে চারুলতা হাসে
বাচিঁবারে চায় প্রান আকুলতায়
তাই দেখে হায় মনের আয়নায়
হেসে ওঠে স্বয়ং ঈশ্বর।

২.

খেলাঘর

পৃথিবীটা বর্ণহীন নিষ্পলকে তাকিয়ে থাকে
আর দূর হতে আকাশ দেখে।

অভিমানী মন
একাকী বিজন
নিরজনে সভা ডাকে।

সে সভার সভাপতি
ভীষণ রাগী,ডাকেন সভা।
সভাসদ সবাই থমথমে গুরুগম্ভীর-
আকাশ,বাতাস,চন্দ্র,সূর্য,নক্ষত্র,তারা,
গাছপালা,তরুলতা,বৃক্ষরাজি।

সন্ধ্যা সাঁজে
পূজোর বাদ্য বাজে
মানুষ হেলায় হারে।
বিজন বাতাসে মরুভূমি কাঁদে
আত্মস্থ হওয়ার সুর নিয়ে
প্রকৃতি ও কাঁদে ।
শূণ্যতা বাতাসে ভেসে আসে
মরুঝড় হয়ে।

আবেগীমন দাড়কাক হয়ে
মরীচিকা দেখে শূণ্য বালিতে,
নির্মমতা পরিহাস হয়ে
অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।
জীবন জগত নিঝঝুম হয়ে
মনের দন্দ্বে সরলতা খোঁজে।

সভাসদ থাকে নিশ্চুপ
দেখে জীবনের পরিহাস!

সন্ধ্যা হারায়
প্রীতিলতা দেয় রণে ভঙ্গ!
সূর্যসেন বলে- চাই না মৃত্যু
চাই জীবন!
নজরুল বলে গাইবো না আমি -বিদ্রোহী গান
তুলবো না সুর!
প্রকৃতি হিংস্রতা নিয়ে বলে ওঠে
পূজোর বেদীতে বাজবোনা আমি!
রবি ঠাকুর বলে ওঠেন
গাইবো না কোন প্রার্থনা গীতি
অজোর কবিতা কিংবা অবিনাশী গান!

ঝলসে দেবো
কোন বেদনার সুর
বিদীর্ণ করি পুরাতন সব
জেগে উঠব স্ব-প্রলয়ে।

নিশীথিনী করে ধ্বংস
গড়ো মাটির নতুন পৃথিবী
আনো এ ধূলির জগতে
কিছু নতুনত্বের সৃষ্টি।

মেঘদূত হেসে উঠে বলে
বৃথা আস্ফালন!
কেবলই চিৎকার
কতদিন ঘুমই না।
কত যুদ্ধ গেলো
এ দুচোখের পাতা এক হলোনা।
সৃষ্টি সেতো মরিচীকা
এক বিশাল বিভ্রম!

বাংলাধারা/এফএস/এআর

আরও পড়ুন