২৪ অক্টোবর ২০২৫

‘সমতল ও পার্বত্য অঞ্চলে সমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছে সরকার’

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি »

সরকার সারা দেশে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন বৈষম্য করে না। সমতলে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে তার সাথে সমান তালে পার্বত্য চট্টগ্রামেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার কুমিল্লাটিলা, ২নং পৌর ওয়ার্ডে বাস্তবায়িত ‘বঙ্গবন্ধু পৌর আবাসন প্রকল্প’র উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সরকার পার্বত্য জেলা পরিষদে বেশ কিছু বিভাগকে হস্তান্তর করেছে। এ অঞ্চলের উন্নয়নকে আরও বেগবান করতে প্রয়োজনে পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে আলোচনা করে বিভাগ হস্তান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক ট্রান্সর্ফোস চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ফয়জুল রহমান এসজিপি, এএফডব্লিউসি পিএস, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু পৌর আবাসন প্রকল্পটি খাগড়াছড়ি শহরের কুমিল্লাটিলা এলাকায় প্রায় দুই একর জায়গার উপর নির্মাণ করা হয়েছে এ আবাসন প্রকল্প। যাদের কোন কিছু নেই ভূমিহীন, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার তাদের জন্য বর্তমান সরকার এ সুযোগ সৃষ্ঠি করেছেন।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি পৌর শহরের কুমিল্লাটিলা এলাকায় দুই একর জায়গার উপর নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু পৌর আবাসন প্রকল্প। প্রায় ৫০১ বর্গফুটের প্রত্যেকটি পাকা ঘরে রয়েছে দুটি শোবার ঘর, একটি রান্না ঘর, একটি শৌচালয় , একটি ডাইনিং এবং একটি ব্যালকনি। রয়েছে আলাদা পানির ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। মাঝখানে বিশাল জায়গাজুড়ে রয়েছে বাগান এবং ওয়াটার রিজার্ভার। আর প্রবেশ মুখে বানানো হয়েছে কমিউনিটি স্পেস।

এই প্রকল্পে মোট খরচ হয়েছে ৩কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকার এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপম্যান্ট’র অর্থায়নে তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে খাগড়াছড়ি পৌরসভা। ২০১৭ সালের শেষের দিকে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে।

এদিকে প্রকল্পে ঘর বরাদ্ধের জন্য আবেদন আহ্বান করা হলে ৮টি ক্যাটাগরিতে ২২১টি আবেদন জমা পড়ে। ক্যাটাগরিগুলো হলো প্রতিবন্ধি, গৃহহীন, ভূমিহীন, হতদরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, অসহায় ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা এবং পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার। পরবর্তীতে পৌর আবাসন প্রকল্পের সুবিধাভোগী যাচাই বাছাই ও পরিচালনা কমিটি জমা পড়া আবেদন থেকে যাচাই বাছাই শেষে ৩৩টি পরিবার নির্বাচন করে। অপর একটি ঘর অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক উধর্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন