বাংলাধারা ডেস্ক »
ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
রায়ে আদালত বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারের পূর্বানুমতির বিধান বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থি ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থি।
২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে, তাকে গ্রেফতার করতে হলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।’
তবে আইনের এই ধারা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৪১ (১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং ধারাটি কেন সংবিধানের ২৬ (১) (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এরপর গতকাল ওই রুলের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষ হয়। আজ রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি বিধান অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।













