২৬ অক্টোবর ২০২৫

‘সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো’

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

‘ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো ইচ্ছে মত টিউশন ফি বাড়াচ্ছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণের যেন কেউ নেই। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধিকাংশই চলছে সরকারের নিবন্ধন ছাড়া। নিবন্ধন না থাকায় সরকারের কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না তারা। মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অবমাননা করছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো। যেসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষা বোর্ড থেকে নিবন্ধন নিয়েছে সেগুলোও চলছে লাগামহীন ঘোড়ার মতো। নিবন্ধন নিলেও তারা সরকারের সব নিয়ম মানছে না।’

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরাম চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিক বক্তব্যে ৬টি যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ১. করোনাকালীন মহামারির সময় স্কুলগুলোর উচ্চ হারের টিউশন ফি হ্রাস। ২. মহামারির সময় উচ্চ হারের টিউশন ফি দিতে অক্ষম অভিভাবকগণের সন্তানদের অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত না করা, এডমিশন বাতিল না করা সর্বোপরি শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা। ৩. ২০১৭ সালের সরকারি গ্যাজেট অনুসারে ২জন নির্বাচিত অভিভাবক প্রতিনিধির সমন্বয়ে আইনানুগ ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে স্কুর পরিচালনা করা। ৪. যৌক্তিক হারে টিউশন ফি নির্ধারন। ৫. ইংরেজী মাধ্যমে পরিচালিত স্কুলগুলোর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একটি কার্যকরী শিক্ষা নীতি প্রণয়ন। ৬. ইংরেজী মাধ্যমে পরিচালিত স্কুলগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য সরকারি পর্যায়ে একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্বায়ত্ত্বশাসিত রেগুলটরি বডি গঠন।

এছাড়াও সমাবেশে আরো বলেন, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোকে আইন মানতে বাধ্য করতে হবে। নিবন্ধনের ব্যবস্থা আরও আগে কার্যকর করা উচিত ছিল। আইন না মানার কারণে তারা বেপরোয়া আচরণ করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে। যেসব স্কুল আইন মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইংলিশ মিডিয়ামের পাশাপাশি বাংলা মিডিয়ামের স্কুলগুলোর আয়-ব্যয়ের তথ্যও অভিভাবকদের জানাতে সরকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।

করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ১৭ মার্চ থেকে। তবে বেশকিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে টিউশন ফি দিতে না পারায় অনলাইন ক্লাস থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কয়েকটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বিরুদ্ধে। কিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল টিউশন ফি যথাসময়ে পরিশোধ করতে না পারায় নিচ্ছে জরিমানাও।

জানা গেছে, টিউশন ফি নিয়ে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের বচসা হচ্ছে। কোথাও কোথাও প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা অভিভাবকদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায়ে শিক্ষকদের কাজে লাগাচ্ছেন।

ফোরামের দাবি আদায়ের জন্য নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি ও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি এ.কে.এম আশরাফুল হক, সাধারণ সম্পাদক এ. জেড. এম সালাহ উদ্দিন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের নির্বাহী সদস্য ও আয়োজক কমিটির আহবায়ক মো. ইয়াকুব এবং পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী শাহাদাত হোসেন।

এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আরিফুর রহমান, সহসভাপতি মনজুর সাকলায়েন, ইঞ্জি: ফেরদৌস আজম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিনহাজ শাকিল, কোষাধ্যক্ষ উজ্জ্বল ডাকুয়া, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী ব্যারিষ্টার আফরোজা আকতার, নির্বাহী সদস্য শাহাদত মাসুদ, এটিএম আলতাফ হোসেইনস লোটাস, আনোয়ারা জুই, মো: ইসমাইল, মিনহাজ, ওয়ালিউল আবেদিন শাকিল, শাহাদাত উল্লাহ এফসিএ, আসলাম উল ইসলাম, শহিদ, ডা. সারওয়ার আলম প্রমুখ।

বাংলাধারা/এফএস/এএ

আরও পড়ুন