মাকসুদ আহম্মদ, বিশেষ প্রতিবেদক »
চট্টগ্রামে বিভিন্নভাবে অসাধু গ্রাহক বিনে পয়সায় বিদ্যুত ব্যবহারে নানা কারসাজি শুরু করেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ও সরেজমিন পরিদর্শনের পর অসাধু গ্রাহকের বিদ্যুত চুরির সত্যতা পাওয়া যাবে। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) খুলশী বিক্রয় ও বিতরন বিভাগের প্রকৌশলীরা অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্নে নানা অভিযান পরিচালনা করলেও আকবরশাহ মাজার সংলগ্ন এই ভূমিদস্যুকে এড়িয়ে চলে। কাট্টলী ভূমি অফিস এলাকায় এ ভূমিতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ কিলোওয়াট বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিবিধ মামলা (নং-৯৪/২০০০-২০০১) পিও-১৬/৭২ এর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় নুরুজ্জামান গংদের অবৈধ দখলে থাকা ভূমি। কারন লট-৯ পাহাড়তলী মৌজার এই বিএস খতিয়ান ৮৫ ও ৯৫ এই ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করা ১ একর ১২শতক ভুমির মধ্যে ৫৬ শতক ভূমি অ-বাঙ্গালী হাসিনা ইব্রাহিমের নামে ১৯৬৪-৬৫ সালে রেকর্ডভুক্ত ছিল । আর এস ৫৫ দাগের আওতায় নামজারি মোকাদ্দমা ২১৯ অনুযায়ী রেকর্ডীয় মালিকের স্থলে পিএস ২৮ নং খতিয়ান তৈরী হয়। এই খতিয়ানের আওতায় পিএস ৭১ ও ৭৩ দাগের অধীনে বিএস দাগ নং ৭০, ৭২,৭৩,৭৪,৭৫,৭৬,৭৮,৭৯ ও ৮২। তবে এই দাগগুলো রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সালের পিও ১৬/৭২ এর আওতায় পরত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। ২০০১ সালের ২ সেপ্টেম্বর সহকারী কমিশনার ভূমি ও ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম বেনজামিন রিয়াজী।
এদিকে, উচ্চ আদালতের তথ্য অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের এই ভূমি পরিত্যক্ত ঘোষণাকে স্থগিত করতে নুরুজ্জামানসহ আটজন ২০০১ সালের ২২ নভেম্বর উচ্চ আদালতে একটি রীট পিটিশন(৬৫৯০/২০০১) দায়ের করে। চট্টগ্রাম আদালতের তথ্য অনুযায়ী, এই আমলা স্থানীয় রওশনারা বেগম গং দের বিরুদ্ধে আদালতে বাদী হয়ে এই আমলা ৪টি মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে সেই ২০০৪ সাল থেকে।
চান্দগাঁও ও কাট্টলী ভূমি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নুরুজ্জামান গংদের দখলে থাকা জায়গা বিএস দাগ নং ৭১,৭৬,৭৮,৭৯ ও ৮২ দাগের পিএস দাগ নং-৭১ এবং বিএস ৭২,৭৩,৭৪ ও ৭৫ দাগের পিএস দাগ নং ৭৩। ১৯৮৮ সালের ২৬ ডিসেম্বরের অতিরিক্ত গেজেট অনুযায়ী উল্লেখিত বিএস দাগদ্বয় এপি তালিকাভুক্ত। এমনকি ৮৫ ও ৮৬ নং খতিয়ানে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় বন্ধ রেখেছে কাট্টলী ভূমি অফিস। এমনকি ১৯৯৪ সাল থেকে সরকারী খাজনাও দিতে পারছে না নুরুজ্জামান গং । বিএস ৯৫ ও ১১১ নং খতিয়ানে বাংলা ১৪০০ সাল পর্যন্ত খাজনা আদায় করা হলেও এপি গেজেটের আওতায় উক্ত ভূমি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর খাজনা আদায় বন্ধ করে দিয়েছে সহকারী কমিশনার ভূমি।
এদিকে, ২০০৮ সালের ২২ জুন চাঁন্দগাও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিবরণীতে উল্ল্যেখ করা হয়েছে এসব ভূমি পরিত্যক্ত। এমনকি এই সহকারী কমিশনার ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারী এক সিদ্ধান্তে নুরুজ্জামান গংদের অবৈধ বিএস খতিয়ান বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেছেন। ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারীর স্মারক নং-৩-১/০৮-১৬/২০০৯/চান্দ,ভূমি।
এ ব্যাপারে নুরুজ্জামানের ভাড়াটিয়া ফারহানা বলেন, এই সরকারী ভূমির কোন খাজনা দিতে হয় না। গ্যাস ও বিদ্যুত অবৈধ সংযোগের কারনে ভাড়াটিয়ারা যা টাকা দেয় সব জমিদার ভোগ করে। ইনকাম ট্যাক্সেরও কোন টাকা দিতে কখনো শুনিনি। ১০টি বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ ও ৭টি গ্যাসের চুলা জ্বলছে অবৈধভাবে।













