রমজানের অন্যতম অনুষঙ্গ ইফতারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ইফতারির বাজার। তারকা মানের হোটেল থেকে শুরু করে মোড় ও গলির মুখের খাবারের বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানে দেখা গেছে ইফতার কিনতে আসা মানুষের উপছে পড়া ভিড়।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই দেখা যায়, নগরীর অলিগলি থেকে অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্টে বসেছে জিলাপি, ছোলা, পেঁয়াজু কাবাবসহ নানা চমকপ্রদ ও স্বাদের খাবারের পসরা। ইফতারের জন্য পছন্দের আইটেমটি নিতে রোজাদারদের দীর্ঘ সারি প্রত্যক্ষ করা গেছে রেস্তোরাঁগুলোতে। রেস্টুরেন্ট ছাড়াও শহরের আনাচে-কানাচে দোকান ও ফুটপাতে ইফতার বিকিকিনিও বেশ চাঙ্গা।
ইফতার সামগ্রিগুলোর মধ্যে রয়েছে রেশমি জিলাপি, বোম্বে জিলাপি, রেশমি কাবাব, গ্রিল চিকেন, বুন্দিয়া, গরুর কালো ভুনা, কাচ্চি, মগজ ভুনা, চিংড়ি বল, পরোটা, লুচি, চিকেন তান্দুরি, চিকেন বটি কবাব, দই চিড়া। এছাড়া রয়েছে জিলাপি, ছোলা, পেঁয়াজু। এর বাইরেও কাটতি রয়েছে পেস্তা বাদাম শরবত, বেলের শরবত, তরমুজের শরবতের।
রোজার দ্বিতীয় দিনে নগরীর চকবাজার, কাজীর দেউড়ি, মুরাদপুর, জিইসি, বহদ্দারহাট, নিউমার্কেট, আগ্রবাদ, অক্সিজেন, ওয়াসামোড়সহ বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টে মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। ফলের প্রতিও মানুষের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। দুপুর থেকে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হতে দেখা যায় কলা, বাঙ্গি, তরমুজ, আনারস, আপেল, আঙ্গুর ও বিভিন্ন ধরনের খেজুর। ইফতারে খেজুর ও ফলের চাহিদা বেশি থাকায় এসব দোকানে বেশি ভিড় দেখা যায়।
নগরীর জিইসি মোড়ের সামনে যেন পা ফেলার জায়গা নেই। ক্রেতা-বিক্রেতার হই-হুল্লোড়ে মুখরিত পুরো ইফতার বাজার। চলছে বেচাকেনাও। এখানকার অস্থায়ী দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে সুতি কাবাব, জালি কাবাব, টিক্কাসহ প্রায় ১০-১৫ ধরনের কাবার। কাবাবের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ডিম চপ, পিয়াজু, চুলা, কাবাবসহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী। মিষ্টির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে শাহী জিলাপি, মিষ্টি, দইসহ নানা কিছু।
এছাড়াও নগরীর অন্যান্য এলাকায় ভ্রাম্যমান দোকানে বিক্রি হচ্ছে ছোলা, বুট, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ডিম চপ, দই বড়া, ডাবলির ঘুঘনি, মিষ্টি, শাহী হালিম, গরু-মুরগি-খাসির হালিম, কাবাব, সবজি পাকোড়া, মাংসের চপ ইত্যাদি।













