চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় সরফভাটার প্রবাসী ইদ্রিস হত্যার মামলার অন্যতম আসামি মঞ্জুরুল হোসেন ওরফে মঞ্জুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার মঞ্জুর সরফভাটার ২নং ওয়ার্ড গঞ্জম আলী সরকার বাড়ির আবুল কাসেমের ছেলে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। পরে তাকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলো— মো. ওসমান, তোফায়েল আহমদ, ওয়াকিল আহমদ, ছাবের আলম, জসিম (গ্রেপ্তার মঞ্জুরের বড় ভাই) ও ইসমাইল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার নতুন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান। তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের প্রবাসী ইদ্রিস হত্যার মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরী থেকে র্যাবের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ (মঙ্গলবার) তাকে কোর্টে চালান দেওয়া হয়।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার মঞ্জুর থাকেন শহরে, কিন্তু গ্রামে সন্ত্রাসী ওসমান, তোফায়েল, কামালদের দিয়ে চাঁদাবাজি, খুন ও অপহরণের মতো কর্মকাণ্ড চালায় মন্জুর।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটায় ওসমান বাহিনীর ওসমান ২০১৯ সালে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহতের পর তোফায়েল-কামাল ওই বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এতে এলাকার মানুষের ঘুম হারাম হয়ে যায়। দিন-দুপুরে চাঁদাবাজি, খামারের গরু, মহিষ ও ছাগল চুরি থেকে সব ধরনের লুটপাট শুরু করে। আর এসব কর্মকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করে গ্রেফতার মন্জুর।
রাঙ্গুনিয়ার মীরের খীল এলাকায় এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পালিয়ে গেছে প্রায় দুই’শ পরিবার। সন্ত্রাসীদে চাঁদা দিতে না পেরে এসব পরিবারকে উপজেলার পোমরা, ইছাখালী ও বিভিন্ন এলাকায় বাসাভাড়া করে থাকতে হচ্ছে। চিড়িঙ্গা এলাকার প্রায় সব পরিবার পালিয়ে গেছে এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয়রা। অনেকে বলছেন, স্থানীয় নেতাদের প্রশ্রয়ে তারা এসব করে ছাড় পেয়ে যায়, অথচ সন্ত্রাসীরা একেকজন হত্যা, অপরহণ, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি বলেও জানা যায়।













